সুপরিচিত প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হোহেম দুটি গিম্বল উন্মোচন করেছে। ব্র্যান্ডটি অত্যাধুনিক এআই পরিচালিত গিম্বল ও উচ্চমানের মাইক্রোফোনের জন্য সুপরিচিত। কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য যা সময়ের প্রয়োজনীয় ডিভাইস।
আইস্টেডি এক্সথ্রি এসই
মডেলটি নতুন কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্যই বিশেষভাবে ডিজাইন করা গিম্বল। ডিটাচেবল রিমোট নিয়ন্ত্রিত গিম্বলটি সহজেই সৃজনশীল ভিডিওচিত্র ধারণের সুবিধা দেবে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে স্থিতিশীল ভিডিওচিত্র নিশ্চিত করে, যা কনটেন্ট ক্রিয়েশনকে সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করে।
আইস্টেডি এম সেভেন
গিম্বল ডিভাইসের প্রয়োজনে বিশেষ উদ্ভাবন মডেলটি। ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ও মানোন্নত স্ট্যাবিলাইজেশন ফিচার দিয়ে এটি সিনেমাটিক শট ও মসৃণ ভিডিওচিত্র ধারণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। টাইম-ল্যাপস ও ডলিজুম সুবিধা ছাড়াও কয়েক ধরনের শুটিং মোড, যা পেশাদার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সময়োপযোগী। গিম্বলের দুটি বিশেষ কারিগরি বৈশিষ্ট্য টাচ ডিসপ্লে ও রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম, যা একেবারেই নতুন ধারণা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সেন্সর ক্যামেরার মাধ্যমে উল্লিখিত মডেলের গিম্বলটি মানুষ ও যে কোনো বস্তুর গতিবিধির ভিডিওচিত্র ধারণে
বিশেষ পারদর্শী।
আইস্টেডি ভিথ্রি
সারাবিশ্বে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য জনপ্রিয় গিম্বলের মধ্যে এটি অন্যতম। আধুনিক এআই স্মার্ট ট্র্যাকিং প্রযুক্তি, রিমোট কন্ট্রোল, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ ও কয়েক ধরনের শুটিং মোড থাকার কারণে গিম্বলটি কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে বিশেষ কদর পেয়েছে। অ্যাকশন ক্যামেরা ও ডিজিটাল ক্যামেরার জন্য হোহেম ব্র্যান্ডের কয়েকটি গিম্বল কনটেন্ট নির্মাতাদের কাছে বিশেষ সুপরিচিত। আগামী ফেব্রুয়ারিতে গিম্বলটি উন্মোচনের কথা জানান নির্মাতারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: দ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।