মানুষের মনের গহিনের খবর দিব্যি বলে দেবে যন্ত্র। শুনতে বিস্ময় মনে হলেও ঘটনা কিন্তু সত্যি। বিশেষ ঘরানার হেলমেট এমন বাস্তব করেছে।
বিশেষ অবয়বের ‘মাইন্ড রিডিং’ হেলমেট মানুষের মনে চলতে থাকা গভীর সব চিন্তা বুঝতে,
লিখতে ও পড়তে পারে।
বিশ্বের প্রথম হেলমেট
বিশ্বের এটিই প্রথম হেলমেট, যা মন ও মস্তিষ্ক দুটোই পড়তে পারে। এমন উদ্ভাবনার মধ্যে বেশ কিছু অভূত উপকার সামনে আসছে।
সিডনি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গ্রাফেনেক্স ইউটিএস হিউম্যান সেন্ট্রিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের গবেষকরা বিশেষ আদলের পোর্টেবল হেলমেট ডিজাইন করেছেন।
সহজে বললে, নিউরোসায়েন্স বিজ্ঞানীরা রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
সুদীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর গবেষণার কঠিন সমীকরণ অতিক্রম করে অবশেষে মানুষের মনে চলতে থাকা চিন্তার ভাষাতত্ত্ব বিশ্লেষণে পারদর্শী হয়ে উঠছে যন্ত্র। কাজটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বিশেষ অবয়বে ডিজাইন করা হয় হেলমেট।
প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক, মাইন্ড রিডিং হেলমেট আদৌ কীভাবে কাজ করবে। মাইন্ড রিডিং হেলমেট তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হলো এমন সব মানুষকে সহায়তা করা, যারা ভেতর থেকে অসুস্থ, কিন্তু কারও সঙ্গে কথা বলার সামর্থ্য নেই। উদাহরণে বলা যায়, প্যারালাইসিস বা স্ট্রোক রোগী, যারা অন্যের সঙ্গে কথা বলতে অক্ষম। গবেষকরা বলছেন, যান্ত্রিক সমীকরণটি
মানুষ ও মেশিনের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগে সেতুবন্ধ প্রতিষ্ঠা করবে। উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ভবিষ্যতে রোবট, বায়োনিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে নির্মাতার জানান।
ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অদম্য চিন্তাশক্তির সমীকরণ মানবিক চিন্তাশক্তিকে কতটুকু ধরাশায়ী করবে, তা সময়ের ওপর ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয় বলে অভিমত দিয়েছেন এআই গবেষকরা। কিন্তু মানবিক চিন্তার সঙ্গে যান্ত্রিক চিন্তার যে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ ঘটছে, তা প্রায় নিশ্চিত করেই বলেছেন বিজ্ঞানীরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’