নতুন স্মার্টফোন মডেল গ্যালাক্সি এস২৫ উন্মোচন করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড স্যামসাং। মডেলে যুক্ত হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ফিচার। ব্র্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ উদযাপনে ‘গ্যালাক্সি আনপ্যাকড ২০২৫’ আসরে মডেল উন্মোচিত হয়।
নির্মাতারা জানান, গ্যালাক্সি সিরিজের তিনটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন– এস২৫, এস২৫ প্লাস ও এস২৫ আলট্রা প্রদর্শিত হয়। প্রতিটি মডেলেই স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট প্রসেসর ব্যবহৃত, যা পারফরম্যান্সকে ভিন্নতা দেবে।
মডেলে এস২৫ সিরিজে এআই ফিচার অন্তর্ভুক্ত।
ক্রস-অ্যাপ অ্যাকশন, সার্কেল টু সার্চ, ইন্টেলিজেন্ট মাল্টিমোডাল সার্চ, কল ট্রান্সক্রিপশন, ডকুমেন্ট সামারি ফিচার ছাড়াও সময়ের সব অ্যাপ্লিকেশন
ও পরিষেবা দেবে।
১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেট, কিউএইচডি প্লাস ডায়নামিক অ্যামোলেড টুএক্স ডিসপ্লে। প্রধান ক্যামেরা ২০০ মেগাপিক্সেল সেন্সরের কোয়াড-ক্যামেরা সেটআপ ও ৫০ মেগাপিক্সেল আলট্রা-ওয়াইড লেন্স। মডেলে টেরাবাইট ডেটা স্টোর করা সম্ভব। ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং ও ব্যাটারি ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার। ডিভাইসগুলো পাওয়া যাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ রঙে।
তবে অঞ্চলভেদে নতুন আসা সবকটি স্মার্টফোনের ফিচার আলাদা হতে পারে।
স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের এমএক্স ডিভিশনের হেড অব প্রডাক্ট অ্যান্ড মারকম সৈয়দ মো.
প্রযুক্তিপ্রেমীরা স্মার্ট কম্প্যানিয়নের মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারে সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতার
সম্মুখীন হবেন।
দুটি মডেলে সাত বছরের সিকিউরিটি আপগ্রেড ও সাতবার অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) আপডেট সুবিধা পাবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।