ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার
Published: 26th, January 2025 GMT
২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এইম প্রোগ্রামে সমস্যার সমাধান চিন্তা করা থেকে শুরু করে সমাধানের পরিকল্পনা ও সফলভাবে কাজ শেষ করার ব্যাপারে ভূমিকা রেখে ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সহায়তা করছে।
বাংলাদেশের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও এবারে ‘এইম’ ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে।
ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে সারাদেশের কয়েকটি স্থান থেকে পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যা ক্যারিয়ার তৈরির সুযোগ হিসেবে উল্লেখযোগ্য। দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী থেকে বাছাই প্রক্রিয়ার পর ২১ জন মেধাবীকে চূড়ান্ত প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
পাঠাও ব্র্যান্ডের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান এইচ এ সুইটি এইম প্রোগ্রামের মেধাবীদের উদ্দেশে বলেন, পরিবারের অংশ হওয়া ও আপনাদের মতো উচ্ছ্বাস আর নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে কাজ করার মানুষদের টিমে পাওয়া আনন্দের। বিশ্বাস করি, আপনাদের প্রতিভা আর উদ্যম এখানে বড় পরিবর্তন আনবে। পাঠাও পরিবারে আপনাদের যাত্রা আনন্দদায়ক এবং সফল হোক। ভবিষ্যতের উদ্ভাবকদের জন্য এমন উদ্যোগ দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামটি এমনভাবে তৈরি করা, যাতে ইন্টার্নরা হাতে-কলমে কাজ করতে পারেন, বাস্তব সমস্যার সমাধান শিখতে পারেন এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ পেতে পারেন। চলতি বছরের প্রোগ্রামে নির্বাচিত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি তার মধ্যে অন্যতম।
বছরের শেষ ভাগে শুরু হওয়া এইম প্রোগ্রাম এখন বাংলাদেশের করপোরেট ইন্টার্নশিপ উদ্যোগ হিসেবে আলোচিত। দ্রুতই ২০২৫ সালের ইন্টার্নরা নতুন যাত্রা শুরু করবেন, যেখানে তারা নিত্যনতুন ধারণা নিয়ে একে অপরের সঙ্গে কাজ করবেন, যা ইন্ডাস্ট্রি ও শিক্ষার্থীদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
তরুণদের ক্ষমতায়ন ও তাদের প্রতিভা বিকাশে এমন উদ্যোগ কাজ করছে। চলমান প্রোগ্রামের মাধ্যমে তরুণরা নতুন কিছু শিখে তাদের যোগ্যতা প্রদর্শনে সব ধরনের সুযোগ পাবেন বলে উদ্যোক্তারা জানান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা
মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
জাতিসংঘের আবেদন
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।
৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।