Samakal:
2025-03-03@20:06:28 GMT

ব্রাউজার হিস্ট্রি বেহাত

Published: 26th, January 2025 GMT

ব্রাউজার হিস্ট্রি বেহাত

না বুঝেই হয়তো নিজের ব্রাউজার হিস্ট্রি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক হচ্ছে সেই ব্রাউজার হিস্ট্রির অন্যতম ক্রেতা।
ইন্টারনেটে যা খুঁজছেন, তা সহজে জেনে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার সবকটি প্ল্যাটফর্ম। কীভাবে তা আটকানো যায়, তা জানেন না অনেকেই। অবশ্য অনেক আগেই মেটা এমন অপশন উন্মোচন করেছে, যার মাধ্যমে ইউজার ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি বন্ধ রাখা সম্ভব। প্রশ্ন আসছে কীভাবে, যা জানা জরুরি। ইন্টারেনেটের হঠাৎ পছন্দের কোনো ব্র্যান্ডের জামা বা জুতার ছবিতে নজরে পড়ল। কিনবেন না হয়তো। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতেই দেখতে পাবেন ওই ব্র্যান্ডের জুতা আর জামা। শুধু তাই নয়, পরপর ওই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পণ্য আসবে স্ক্রিনে। প্রায় সবাই বিরক্ত হয়েই বিজ্ঞাপন দেখতে বাধ্য হয়ে পড়েন। আগ্রহী ভোক্তার সব ধরনের ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটি জেনে যায় ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম। চাইলে তা আটকানো সম্ভব। বিজ্ঞাপনের অযাচিত জ্বালাতন বন্ধে ফিচার ডেভেলপ করেছে মেটা। মূলত প্রাইভেসি সেটিং বন্ধ করলে ইন্টারেনেটের ব্রাউজিং হিস্ট্রি বা ঠিক কী করছেন, তা আড়ালে চলে যাবে।
শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট কোন কোন কোম্পানি মেটাকে ব্রাইজারের তথ্য সরবরাহ করছে, তাও ঠিকঠাক জানা যাবে। ব্রাউজারে ইন্টারনেটের যে কোনো কিছু সার্চ বা খোঁজ করার আগে খেয়াল রাখতে হবে, কেউ না কেউ তাতে নজরদারি করছে। কারণ, তার প্রয়োজন আপনি কী ধরনের সার্চ করছেন। ওই তথ্য থেকে আপনার আগ্রহের পণ্যকে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপন করবে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ