ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় একটি ভবনের ছাদের কার্নিসে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় আলোচিত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট। গ্রেপ্তারের ১৫ মিনিটের মাথায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে তারা।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দীঘিনালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাকারিয়া। 

তিনি বলেন, রবিবার রাতে এসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যইবুনাল। এসময় তাদের সঙ্গে ছিল ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট।

তিনি আরো জানান, গত নভেম্বর মাসে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানায় যোগদান করেছেন এএসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। দূর থেকে ধারণ করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ভবনের রড ধরে ঝুলে আছেন এক তরুণ। ওই অবস্থায় তাকে পরপর অন্তত ছয় রাউন্ড গুলি করে পুলিশ। এরপর পুলিশ চলে গেলেও সেই তরুণ সেখানেই ঝুলে ছিলেন।

ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ জুলাই। ঢাকার রামপুরার মেরাদিয়া এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবনে। ভুক্তভোগী তরুণের নাম আমির হোসেন (১৮)। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ঢাকায় ফুফুর বাসায় থাকতেন এবং কাজ করতেন রামপুরার একটি রেস্তোরাঁয়। সেদিন ঘটনায় অবশ্য তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই

ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। 

জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে। 

এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। 

বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন। 

এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। 

এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। 

এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
  • হবিগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
  • চুরির অপবাদে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
  • বান্ধবীকে জন্মদিনের উপহার দিতে পিস্তল নিয়ে জুতা চুরিতে শিক্ষার্থী
  • পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন-গুলির অভিযোগ, সাবেক ২ ওসিসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা
  • ওসিসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
  • ব্যস্ত জংশনে শুনশান নীরবতা