দেশের ব্যাংক খাত থেকে পাচার হওয়া ১৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের সন্ধানে বিশ্বের বড়  তিনটি অডিট ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফার্মগুলো হলো– ইওয়াই, কেপিএমজি ও ডেলয়েট। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা এই অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর লন্ডনভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।
গভর্নর বলেন, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ। লোপাট হওয়া অর্থ দিয়ে কেনা সম্পদের হদিস ও পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ১১টি যৌথ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চরম খারাপ অবস্থায় পড়া ব্যাংকগুলোর বড় ঋণ ধরে ধরে তথ্য যাচাই করছে আন্তর্জাতিক অডিট ফার্ম। ব্যাংকগুলোর পরিচালনায় যুক্তদের ঋণ এবং বন্ধকি সম্পত্তির মূল্য যাচাই হচ্ছে। এভাবে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে সম্পদের তথ্য যাচাই (একিউআর) করে মূলধনের প্রকৃত প্রয়োজনীয়তা বের করবে আন্তর্জাতিক এসব ফার্ম। প্রাথমিক পর্যায়ে এসআইবিএল, গ্লোবাল ইসলামী, আইসিবি ইসলামিক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও এক্সিম ব্যাংকের ওপর কাজ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পর্ষদ পুনর্গঠন হওয়া অন্য পাঁচ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান যাচাই হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ১.৫৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ থেকে ১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর পিই রেশি কমেছে ১.৫৪ শতাংশ।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৫৮ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১৫ পয়েন্ট বা ১.৫৪ শতাংশ কমেছে।

এর আগের সপ্তাহের (৬ থেকে ১০ এপ্রিল) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯.৭৩ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.০১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমেছে।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫.৯৯ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.০৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৭৬ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ৯.৭৭ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১০.৫২ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১০.৬৫ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.১২ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১২.৭৪ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৩.০৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৩.১০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.০৯ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৫.০৬ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৪২ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৮.৩৪ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ১৮.৯৪ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২৬.৩৭ পয়েন্ট, পাট খাতে ২৬.৬০ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৩৯.৩৪ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ১০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা

সম্পর্কিত নিবন্ধ