মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় আহাদ আলী (৪৫) নামে এক বাংলাদেশিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে ভারতীয়রা।

রোববার দুপুরে কর্মধা ইউনিয়নের দশটেকি (নতুন বস্তি) এওলাছড়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, দুপুরে জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আহাদ আলীর। এক পর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলী ও তার সহযোগীরা আন্তর্জাতিক সীমানা রেখার ৫ গজ ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে আহাদ আলীকে। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় আহাদ আলী উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে কুলাউড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানেই আহাদের মৃত্যু হয়।

পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা শিকড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য শাহীন আহমদ জানান, ভারতীয় নাগরিক হায়দার আলীর সঙ্গে নিহত আহাদের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে জায়গা নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে তাদের তা স্পষ্ট নয়। 

সূত্র জানায়, ১০৮৩ এর ৩৪ এস এর ৫ গজ বাংলাদেশের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষে বিএসএফের কাছে কড়া প্রতিবাদ করেছে বিবিজি।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

গোলাম আপছার জানান, বিকেলে সিলেট ওসমানি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। লাশ মর্গে রয়েছে এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ