জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের লক্ষ্যে গঠিত পরিবেশ পরিষদের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর মতবিনিময় সভা বর্জন করেছে শাখা ছাত্রদল।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে। কিন্তু জাবি শাখা ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল সিনেট কক্ষে প্রবেশ করে প্রশাসনের কাছে চার দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দিয়ে মতবিনিময়ে সভা বর্জন করেন। 

দাবিগুলো হলো- জাকসুর তফসিল ঘোষণার পূর্বে জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা, প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে সংস্কার করা, ফ্যাসিবাদ মুক্ত প্রশাসনে অধীনে জাকসু করা এবং ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জাকসুতে অংশগ্রহণ না করা।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, “জাকসু নির্বাচনের সবচেয়ে বড় অংশীজন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পারেনি। বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাত্র প্রতিনিধি চাওয়া হয়েছে, সেটা কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে আমার জানা নেই। ফ্যাসিবাদের দোসর ও ১৫-১৭ জুলাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার ব্যতিত জাকসু নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।”

এর আগে, বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের  সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভাগীয় ছাত্র সংসদ প্রতিনিধিদের নিয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাকসুর বাস্তবায়ন চান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি সোহেল রানা বলেন, “জাকসু নির্বাচনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বড় অংশীজন। এখানে কারো হস্তক্ষেপে জাকসু বিলম্বিত হোক, তা চাই না। জাকসু আমাদের প্রাণের দাবি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাকসু বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই।”

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচন। এ লক্ষ্যে গত ৩১ ডিমেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে প্রশাসন। পরে ১১ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা, ২১ জানুয়ারি পরিবেশ পরিষদ ও ২৪ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়। এছাড়া রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল মতব ন

এছাড়াও পড়ুন:

জমিতে হাঁস যাওয়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জমিতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ দিন আগে ঘুজিয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা রোশেনা বেগমের কয়েকটি হাঁস জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জয়দর মিয়া রোশেনা বেগমকে বাড়িতে গিয়ে মারধর করেন। এর দুই দিন পর প্রতিশোধ নিতে রোশেনার লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরবর্তী স্থানীয়দের সহায়তায় দুপক্ষ আপোষে রাজি হলেও জয়দর মিয়ার লোকজন পুনরায় রোশেনার পক্ষের একজনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ মামলা করে। এর জেরে শুক্রবার বিকেলে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে জয়দর মিয়া ও রোশেনার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তাদের ব্যবহৃত নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া বলেন, ‘‘জমিতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগেও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। আজ সেই পুরনো ঘটনার জেরে আবার সংঘর্ষ হয়েছে।’’

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল আলম বলেন, ‘‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/রুবেল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাওয়া ছিল ২ কোটি, দর-কাষাকষিতে ২ লাখ মোহরানায় ব্যাঙের বিয়ে
  • চাওয়া ছিল ২ কোটি, দর-কাষাকষিতে ২ লাখ মোহরানায় হলো ব্যাঙের বিয়ে
  • জমিতে হাঁস যাওয়া নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫