গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী
Published: 26th, January 2025 GMT
দক্ষিণ গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজায় তাদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে সীমান্ত চৌকিগুলো খুলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাজার মধ্যাঞ্চলে, উত্তর দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কগুলোতে অসংখ্য মানুষ অপেক্ষা করছিল। এরা কেউ যানবাহনে এবং কেউ পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছিলেন।
গাজা সিটির বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি তামের আল-বুরাই রয়টার্সকে বলেন, “গাজা সিটি এবং উত্তরে ফিরে যাওয়ার জন্য জনতার সমুদ্র একটি সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব মানুষের অনেকেই জানেন না যে তাদের বাড়ি এখনো টিকে আছে কিনা। কিন্তু যাই হোক না কেন, তারা তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের পাশে তাঁবু স্থাপন করতে চায়, তারা নিজের বাড়ি অনুভব করতে চায়।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অনেক মানুষ রাতভর সালাহউদ্দিন রোডে ঘুমিয়েছিলেন, যা উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত প্রধান সড়ক এবং উত্তরে অভিমুখী উপকূলীয় সড়ক। তারা গাজা উপত্যকার কেন্দ্রজুড়ে অবস্থিত নেটজারিম করিডোরে ইসরায়েলি সামরিক অবস্থান অতিক্রম করার জন্য অপেক্ষা করছিল।
তিন দেশের মধ্যস্থতায় চলতি মাসে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শনিবার গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের সাথে ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের দ্বিতীয় দফায় বিনিময় হয়।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’