Samakal:
2025-01-31@11:46:17 GMT

অল্পে রক্ষা পেল ১২শ যাত্রী

Published: 26th, January 2025 GMT

অল্পে রক্ষা পেল ১২শ যাত্রী

গাজীপুরে অল্পের জন্য দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী বনলতা এক্সপ্রেস। ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের ধীরাশ্রম এলাকায় গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে । এ সময় ট্রেনটিতে প্রায় ১ হাজার ২০০ যাত্রী ছিলেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, লক ভেঙে হঠাৎ বাঁকা হয়ে গিয়েছিল রেললাইনের এক পাশের স্লিপারের প্রায় ২০ মিটার অংশ। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু রেলকর্মী ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলের একটু সামনে লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেন। দূর থেকে তা দেখতে পান বনলতা এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার (চালক)। তিনি প্রায় ৪০-৫০ মিটার দূরে এসে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হন। 
রেলওয়ে সূত্র জানায়, প্রায় ১ হাজার ২০০ যাত্রী নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর ২টার পর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পৌনে ৩টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে জংশন ছাড়িয়ে সেটি ধীরাশ্রম এলাকায় যাওয়ার পরপরই লোকোমাস্টার রেললাইনের ওপর বিপদসংকেত দেখতে পান। তাঁর চোখে পড়ে লাইনের ঠিক মাঝখানে লাল পতাকা উড়ছে। পরে তিনি ট্রেনটির গতি কমিয়ে আনেন। বেঁকে যাওয়া অংশের প্রায় ৪০-৫০ মিটার দক্ষিণে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হন তিনি। 
ওই ট্রেনের যাত্রী রুবেল হোসেনের ভাষ্য, স্টেশন ছাড়াই যখন হঠাৎ ট্রেনটি থেমে যায়, তখন যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তারা ট্রেন থামার কারণ জানতে পারেননি। পরে লাইন সরে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। অল্পের জন্য সব যাত্রী প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। 
এলাকাবাসীর ভাষ্য, বনলতা ট্রেন আসার অল্পক্ষণ আগেও একটি ট্রেন এই লাইন অতিক্রম করে। তখনও লাইনটি বাঁকা ছিল না। হঠাৎ বাঁকা হয়ে যায়। সেখানে তখন রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের কর্মীরা কাজ করছিলেন। লাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুই দিকের স্টেশন মাস্টারকে বিষয়টি জানিয়ে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া। তবে কোনো স্টেশন থেকেই রেললাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার খবরটি বনলতা এক্সপ্রেসের লোকোমাস্টার বা পরিচালককে জানানো হয়নি। বিপদসংকেত দেখেই লোকোমাস্টার ট্রেনটি থামিয়েছেন।
আলী হোসেন নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, স্টেশন ছাড়া এভাবে মাঝপথে হঠাৎ ট্রেন থামানো হচ্ছে দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারা পরে লাইন বেঁকে যাওয়ার বিষয় জানতে পারেন। 
বনলতা এক্সপ্রেসের পরিচালক মোখলেছুর রহমান সমকালকে বলেন, রেললাইনের স্লিপারের লকগুলো কীভাবে খুলে গেছে, লাইন কীভাবে বাঁকা হয়েছে– এর কারণ বুঝতে পারছেন না।
বিষয়টি জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী। শীতকালে এভাবে রেললাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার ঘটনা আগে ঘটেছে বলে তাঁর জানা নেই। হানিফ আলী বলেন, গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। ট্রেনের চাকার ঘর্ষণে লাইনটা কি লম্বা হয়ে গেছে কিনা, সেটা জানতেও তদন্ত
চলছে। স্টেশন মাস্টারের ভাষ্য, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা লাইনটি মেরামত করতে সক্ষম হই। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র লওয় ব ষয়ট

এছাড়াও পড়ুন:

তুফানের পর বনলতা সেন


‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন/ আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন’– কবি জীবনানন্দ দাশের সুবিখ্যাত কবিতা ‘বনলতা সেন’। এ কবিতা নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের কোনো অন্ত নেই। কে এই সুন্দরী নারী? কী তাঁর পরিচয়? নাটোরের বনলতা সেন নামের কোনো মায়াবতীর সঙ্গে কবির কি আদৌ পরিচয় ছিল? বনলতা সেন বিষয়ে আজীবন এই নীরবতা বজায় রেখেছেন কবি; মনের অজান্তেও কখনও কারও কাছে বনলতা সেনকে নিয়ে বলেননি কোনো কথা। কবির চরিত্র অনাবিষ্কৃত থাকলেও এবার পর্দায় আসছে ‘বনলতা সেন’ নামে একটি সিনেমা। মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের পরিচালনায় এতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ও মডেল মাসুমা রহমান নাবিলা। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই এ সিনেমা মুক্তি পাবে। 

বনলতা সেনের খোঁজে...
নাবিলার সর্বশেষ অভিনীত সিনেমা ‘তুফান’ মুক্তি পেয়েছে গত বছর ঈদুল আজহায়। রায়হান রাফী পরিচালিত এ সিনেমায় তাঁর অভিনীত ‘জুলি’ চরিত্রটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। শাকিব খানের সঙ্গে তাঁর নতুন রসায়নও দর্শক গ্রহণ করেছেন। তাদের খুনসুটি, ঝগড়া, অভিমান-অনুযোগ, প্রেমের দৃশ্যগুলো দর্শককে বেশ আনন্দ দিয়েছে। এর আগে তিনি শেষ করেছেন অনুদানের সিনেমা ‘বনলতা সেন’-এর কাজ। একেবারে নীরবেই সিনেমার দৃশ্যধারণ হয়েছে । এটি তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারে একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ বলে মনে করছেন তিনি।  সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে নাবিলা বলেন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বেশ বাছবিচার করে সিনেমার কাজে হাত দিয়েছি। আমার অভিনীত তৃতীয় সিনেমা ‘বনলতা সেন’-এর গল্প অসাধারণ।  নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বেশ যত্ন নিয়ে কাজটি শেষ করেছেন। অনেক বছর ধরে সিনেমার কাজ হয়েছে। আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। আমি চাই, দর্শক পর্দায় কাজটি দেখুক। গল্প ও চরিত্র মিলে সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে– এ আশা করাই যায়।

একটি সূত্রে জানা গেছে,শুরুতে নাবিলাকে নির্মাতা শুধু চরিত্রের সারসংক্ষেপ দিয়েছিলেন। পরে পুরো স্ক্রিপ্ট পড়তে চান তিনি। নির্মাতা তাঁকে প্রথমে কম গুরুত্বপূর্ন চরিত্রের কথা বলছিলেন। কিন্তু বিরতির পর ওই ধরনের চরিত্র দিয়ে ফিরতে চাইছিলেন না এই অভিনেত্রী। 

অনেক দিন পর নাবিলাকেই ডাকলেন নির্মাতা। নিলেন অডিশন। পরে চরিত্রটি নাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ন চরিত্রটিই বরাদ্দ হলো। নাম শুনে অনেকেই মনে করছেন এটি সাহিত্যনির্ভর কাজ। কেউ কেউ বলেছেন,বনলতা সেন কবিতার ছায়া থাকবে সিনেমায়। বিষয়টি নিয়ে নাবিলা বলেন, ‘স্ক্রিপ্টে যখন চোখ রাখি তখনই মনে হয়েছিল, আমি কোনো সাহিত্য পড়ছি। আসলে এটি সাহিত্যনির্ভর কাজ নয়। বনলতা সেন কে, এটি তো আমাদের জানা নেই। কাল্পনিকই বলা চলে। কেউ কখনও তাকে দেখেননি। নির্মাতা যেভাবে বনলতা সেনকে কল্পনা করেছেন, সেভাবেই সিনেমায় তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সিনেমাটিকে আসলে কোনো জনরায় ফেলা যায় না। নির্মাতা নিজের মতো করে গল্প লিখেছেন। এটি একটি রহস্যময় সিনেমা। অনেক ইতিহাস আছে এতে। বনলতা সেন কে তা সিনেমা দেখার পর বোঝা যাবে। 

রান্নার আয়োজন 
অভিনয়, উপস্থাপনা, মডেলিংয়ে বছরজুড়েই ব্যস্ত সময় কাটে নাবিলার। মাঝে সিনেমার কাজে বেশি মনোযোগী ছিলেন তিনি। এ কারণে উপস্থাপনায় একেবারেই দেখা যায়নি এ অভিনেত্রীকে। ১০ বছর পর ফিরলেন উপস্থাপনায়। ‘রাঁধুনী রান্নাঘর, বাংলাদেশের সেরা ১০০ রেসিপি’ ও ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’ নাম দুটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন তিনি। গত বছরের শেষ দিকে আবারও ‘রাঁধুনী রান্নাঘর, বাংলাদেশের সেরা ১০০ রেসিপি’ নিয়ে ফিরেছেন নাবিলা।

‘রাঁধুনী রান্নাঘর, বাংলাদেশের সেরা ১০০ রেসিপি’ উপস্থাপনা প্রসঙ্গে নাবিলা বলেন, ‘বেশ বিরতির পর রান্নার অনুষ্ঠান দিয়ে উপস্থাপনায় ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে। নানা অনুষ্ঠানের ভিড়ে এর আইডিয়া ব্যতিক্রম। পাকা ১০০ রাঁধুনির রেসিপি দিয়ে সাজানো হয়েছে এ আয়োজন। মাছারাঙা টেলিভিশনে এর ১৩ পর্ব প্রচার হয়েছে। বেশ সাড়া পাচ্ছি আয়োজনটিতে। ‘স্টারশিপ ফিউশন কিচেন’ কাজটি পছন্দের বলে জানিয়েছেন নাবিলা। একটি দৈনিক পত্রিকার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও চরকিতে রান্নার এ আয়োজন দেখা যাচ্ছে। রান্নার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা বেশ উপভোগ করছেন বলে জানান এ অভিনেত্রী।

কাজের অবসরে
শুটিং না থাকলেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করেন নাবিলা। তিনি বলেন, ‘আমি ঘরকুনো মেয়ে। ঘরেই বেশি মন টেকে। যখন শুটিং করি, তখনও সন্তানকে সময় দিতে পারছি না বলে অপরাধবোধ কাজ করে। ওই সময় সন্তানের সঙ্গ খুব মিস করি। সংসার সামলে সময় যে কখন চলে যায়, টেরই পাই না।’ v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তুফানের পর বনলতা সেন
  • রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, সীমাহীন দুর্ভোগের অবসান