‘‘ফেব্রুয়ারিতে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল আসবে। জুলাই-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা পূরণে আগামীতে ছাত্রদের রাজনৈতিক দল দেশের ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তারা বিজয়ী হয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন।’’ 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী-ইয়াকুব আলী স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রিফাত রশিদ।

তিনি বলেন, ‘‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি আওয়ামী লীগের মতো জনগণকে দমন-পীড়ন করতে চায়; জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারে, তাহলে জনগণ তাদেরও প্রত্যাখ্যান করবে।’’

সভায় সাভারের আমিনবাজার, ভাকুর্তা, কাউন্দিয়া ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ৫ আগস্ট-পরবর্তী নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ সময় তারা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পরও সাভার-আশুলিয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিভাগীয় প্রতিনিধি শেফালী সুলতানা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, সহ সমন্বয়ক ইসমাইল হোসেন রুদ্র প্রমুখ। 

ঢাকা/সাব্বির/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আ. লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে সরকার: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়, যতক্ষণ না তাদের দোষী নেতাকর্মীদের বিচারের মুখোমুখি না হয় এবং যতদিন পর্যন্ত দলটির বর্তমান নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে বের হয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া সম্ভব না।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের প্রতিবাদ করতে দিয়েছিল?

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পরদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান প্রেস সচিব।

পোস্টে তিনি লিখেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বন্ধ করেনি। গত সাড়ে পাঁচ মাসে শুধুমাত্র ঢাকাতেই অন্তত ১৩৬টি প্রতিবাদ হয়েছে। এর কিছু প্রতিবাদ ব্যাপক যানজটের কারণ হয়েছে। তবুও, অন্তর্বর্তী সরকার কখনো প্রতিবাদে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।

জুলাই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের ভিডিও ফুটেজ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার জন্য দায়ী। তিনি প্রশ্ন রাখেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলকে কি প্রতিবাদের সুযোগ দেওয়া উচিত?

প্রেস সচিব লিখেন, বিশ্বের কোনো দেশই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ দেয় না। অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে এবং হত্যাকারীদের নেতৃত্বে যে কোনো প্রতিবাদকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যানারে অন্য কেউ অবৈধ প্রতিবাদ করতে চাইলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: বিসিসি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফার খবরে দরবৃদ্ধির শীর্ষে এনার্জিপ্যাক
  • নির্বাচনের চাপ বাড়াতে ‘দ্রুত আন্দোলনে যাবে’ বিএনপি 
  • কেউ বললেই যেন আমরা বিদেশে দৌড় না দেই : শামীম আজাদ
  • ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
  • গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার: তারেক রহমান
  • চীনের বসন্ত উৎসবে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা
  • আ. লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে সরকার: প্রেস সচিব
  • জনগণের বিপক্ষে গেলে ৫ আগস্টের মতো পরিণতি হবে: তারেক রহমান
  • সবাইকে দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে: তারেক রহমান
  • ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকতে পারে কালও