গণমাধ্যমে উন্নয়নের বয়ান তৈরি করেছিল আ’লীগ
Published: 26th, January 2025 GMT
আওয়ামী লীগের সময়ে গণমাধ্যমে উন্নয়নের বয়ান তৈরি করা হয়েছিল। গণমাধ্যমের সহযোগিতা ছাড়া বিগত সরকার এত বছর টিকে থাকতে পারত না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার ‘সংবাদ না বয়ান; গণমাধ্যমের ঝোঁক ও ঝুঁকি’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বক্তারা। এর আয়োজক প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, প্রধান অতিথি উপাচার্য ড.
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘মিডিয়ার সহযোগিতা ছাড়া ফ্যাসিস্ট সরকার এত বছর টিকে থাকতে পারত না। আওয়ামী লীগের সময়ে সংবাদমাধ্যমে উন্নয়নের যে বয়ান তৈরি করা হয়েছিল সুন্দর সোনার বাংলার, সেই বয়ান বা ন্যারেটিভের বাইরে কিছু শোনা যেত না। এই ন্যারেটিভের বাইরে কেউ কিছু বলার চেষ্টা করলে তাদের লিমিটেড স্বাধীনতা দেওয়া হতো। বলতে পারবে, কিন্তু শুনবে না, মিডিয়ায় আসবে না, রাষ্ট্র শুনবে না, ধরে নেওয়া হবে, এই কথাটা বলা হয়নি। এই অভিযোগ করা হয়নি। এভাবে সুন্দর সোনার বাংলার বয়ানের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি, জীবন ও জবান চুরি করা হয়েছিল। এর সহযোগিতা করেছিল মিডিয়া।’
রিফাত হাসান বলেন, ‘মিডিয়া হচ্ছে এমন জাদুকর, যার ইচ্ছাশক্তির ওপর আপনি কখনও শয়তান, কখনও ফেরেশতা হয়ে উঠতে পারেন। তাই আমি মিডিয়ার স্বাধীনতার চেয়ে নৈতিকতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।’
ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত সময়ে দেখা গেছে, গণতন্ত্রের সূচক যতটুকু নেমেছে, প্রেস ফ্রিডমও ততটুকু কমেছিল।’
উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘সাংবাদিকদের নির্ধারণ করতে হবে তারা সত্যসন্ধানী হবেন, নাকি রাষ্ট্রীয় বয়ানকারী হবেন।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহায়তায় আয়োজিত সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প আইব
এছাড়াও পড়ুন:
বইমেলা উপলক্ষে ঢাবিতে যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শিথিল
অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। সারা দেশ থেকে বিভিন্ন বয়স ও শ্রেণি-পেশার মানুষ এ বইমেলায় আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে তাদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে প্রবেশপথগুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে যে বিধি-নিষেধ থাকে, তা অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে শিথিল করা হলো। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো ব্যারিকেড রাখবে না।
তবে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এ প্রবেশপথগুলোতে সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন প্রবেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে পার্কিং করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক দল এবং প্রক্টরিয়াল মোবাইল সিকিউরিটি টিমের সদস্যরা ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
ঢাকা/সৌরভ/রফিক