প্রথম দিন সকালে ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারানো উইন্ডিজ কি এমন কিছু ভেবেছিল? হয়তো সে সুখানুভূতির কারণেই গতকাল শেষবেলায় সৌদ শাকিলের ক্যাচ ফেলার পরও কোনো আক্ষেপ ছিল না ক্যারিবিয়ান কিপার টেভিন ইমলাখের।
এ নিয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি ক্যাচ ফেলছে তারা। এর পরও হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছে ক্যারিবীয়রা। কারণ ৩৫ বছর পর জয়ের সুবাস পাচ্ছে তারা! ২৫৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৬ রান করেছে পাকিস্তান।
১৯৯০ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম জয় থেকে আর ৬ উইকেট দূরে রয়েছে ক্যারিবীয়রা। পাকিস্তানের প্রয়োজন আরও ১৭৮ রান। প্রায় বধ্যভূমিতে পরিণত হওয়া মুলতানের স্পিন উইকেটে যা অসম্ভবই মনে হচ্ছে। পাকিস্তানের মাটিতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৪টি টেস্ট জিতেছে উইন্ডিজ। যার সর্বশেষটি এসেছিল ১৯৯০ সালে ডেসমন্স হেইন্সের নেতৃত্বে।
ওই দলে ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ, ম্যালকম মার্শাল, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশের মতো কিংবদন্তিরা। সোনালি সময়ের সেই উইন্ডিজ তো এখন আর নেই। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে তারা দাপট দেখালেও টেস্টে ক্যারিবীয়রা এখন একেবারেই ব্যাকবেঞ্চার্স। সেই ধারভারহীন উইন্ডিজই ৩৫ বছর অধরা জয়ের স্বাদ পেতে যাচ্ছে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম তিন ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। নিজের প্রথম বলেই অধিনায়ক শান মাসুদকে এলবিডব্লিউও করে দেন অফস্পিনার কেভিন সিনক্লেয়ার। পরের ওভারে বাঁহাতি স্পিনার গুদাকেশ মোতিকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন অপর ওপেনার মোহাম্মদ হুরাইরা। পরের ওভারে কামরান গুলামের উইকেটও পেতে পারতেন মোতি। কিন্তু গালিতে জাস্টিন গ্রিভস ক্যাচ মিস করেন। ১৩ রানের সময় বাবর আজমের ফিরতি ক্যাচও নিতে পারেননি মোতি।
জীবন পেয়ে দুই ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কামরান এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে ৪৩ রানের জুটি। এর পর শর্ট লেগে ক্যাচ দেন বাবর।
পাকিস্তানিরা স্পিন খেলতে ব্যর্থ হলেও উইন্ডিজ কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাট করেছে। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের নেতৃত্বে ওয়ানডে স্টাইলে শুরু করে তারা। এতে কাজও হয়। ব্রাথওয়েটের হাফ সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ৯২ রান তুলে নিয়েছিল তারা। এর পর অবশ্য ছোটখাটো একটা ধস নামে। সপ্তম উইকেটে ইমলাখ ও সিনক্লেয়ার ৫১ রানের জুটি গড়ে আবার রুখে দাঁড়ান। এর পর মোতি, ওয়ারিকানরা দলের রান আড়াইশর কাছাকাছি নিয়ে যান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: উইন্ডিজ: ১৬৩ ও ২৪৪ (ব্রাথওয়েট ৫২, ইমলাখ ৩৫, জঙ্গু ৩০; সাজিদ ৪/৭৬, নুমান ৪/৮০)
পাকিস্তান: ১৫৪ ও ৭৬/৪ (বাবর ৩১, কামরান ১৯, শাকিল ১৩*; সিনক্লেয়ার ২/৪১)
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল উইন ড জ উইক ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশি লেনিন অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় নির্বাচনে লিবারেল পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থী
এবারের অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে জাকির আলম লেনিন নিউ সাউথ ওয়েলস এর ওয়াটসন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বহু প্রতিভার অধিকারী লেলিন সততা, অভিজ্ঞতা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই একটি উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অবদান রাখতে বাংলাদেশি কমিউনিটি ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন।
জাকির আলম লেনিনের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার দাদা মাজহারুল আলম ভূঁইয়া ছিলেন জমিদার। পিতা মোতাহের আলম ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন।
জাকির আলম লেলিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতি বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ১৯৯৬ সালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ। ফুটবল, ক্রিকেট ও লন টেনিসে তাঁর পারদর্শিতা তাঁকে জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিচিত করে তোলে।
পেশাগত জীবনে তাঁর সূচনা ঘটে বাংলাদেশের বহুজাতিক চা কোম্পানি জেমস ফিনলে-তে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে।
২০০৫ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করেন এবং সেখানে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ ডিপ্লোমা এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি রিয়েল এস্টেট এবং ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যবসায় নিয়োজিত এবং এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির অন্যতম সংগঠন জিয়া ফোরাম অস্ট্রেলিয়া-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় উল্লেখযোগ্য সামাজিক দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁর সংগঠন Covid Hero Award অর্জন করে।
লিবারেল পার্টির একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সদস্য হিসেবে তাঁর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বহুসাংস্কৃতিক সমাজের উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার, এবং সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ওয়াটসন আসনের জনগণের জন্য তিনি একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কণ্ঠস্বর হতে চান।
উল্লেখ্য, আগামী ৩ মে অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।