এস কে সুরের লকারে মিললো স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও এফডিআর নথি
Published: 26th, January 2025 GMT
নানা নাটকীয়তা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর লকার খুলেছে দুদক কর্মকর্তারা। সেখানে মিলেছে স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও এফডিআর নথি। রোববার সকাল ১০টায় দুদকের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে হাজির হন। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে লকার খুলতে সন্ধ্যা পেরিয়ে যায়।
জানা গেছে, লকার থেকে নগদ ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার এবং ৫৫ হাজার ইউরো পাওয়া গেছে। এছাড়া ১ হাজার ৫ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআরের নথি পাওয়া যায়।
গত ১৪ জানুয়ারি এস কে সুরকে গ্রেপ্তার করে দুদক। সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুদকের নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে সংস্থাটি জানতে পারে, সেটি ভল্ট নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবান সামগ্রী রাখার লকার (সেফ ডিপোজিট)।
২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা থেকে দুদককে ফিরতি চিঠি দিয়ে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত করার তথ্য জানায়।
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর এস কে সুরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সম্পদের বিবরণী নোটিশের জবাব না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।
আলোচিত পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় ২০২২ সালে এস কে সুরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ওই বছরের মার্চে তাকে দুদকে তলব করা হয়। এস কে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান।
অভিযোগ আছে, এস কে সুর ডেপুটি গভর্নর থাকাকালে আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন এবং সুবিধা নিয়েছেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় ৬০ প্রবাসী নারীর ‘ভিন্ন ধারায় মিলনমেলা’
কানাডার টরন্টোর স্কারবারো শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ভিন্ন ধারায় মিলনমেলা’। গত রোববার সকালে শহরের প্রায় ৬০ জন নারী এতে অংশ নেন। ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করেছিলেন প্রবাসী নারী তানিজা রেজা।
আয়োজক তানিজা জানান, ‘আমাদের জন্য এটা ছিল ভিন্ন একটা দিন। সকাল ১০ টায় সেজেগুঁজে আমরা চলে গিয়েছিলাম স্কারবোরো এর রূপসী বাংলা রেস্টুরেন্ট এ। নিজ উদ্যোগে আমি আয়োজন করেছি ভিন্ন ধারায় মিলন মেলা।’
তিনি বলেন, ‘এই আয়োজনে সায়রা আপু আর সেতু আপু ভলান্টিয়ার হিসেবে আমাকে সাহায্য করেছেন। আর অসংখ্য ধন্যবাদ বিসিসিবি উইমেন প্লাটফর্মকে। এই প্লাটফর্ম অনলাইন এ সমস্ত নারীদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আমার ‘ভিন্ন ধারায় মিলন মেলা’ এই উদ্যোগে তাদের অবদান অপরিসীম।’
আয়োজক জানান, ‘এই মিলনমেলাতে কোনো প্রমোশন ছিল না, কোনো অফিসিয়াল স্পনসর ছিল না, না কোনো কমিটি। আমরা সবাই সবাই কে চিনেছি, সবার গল্প শুনেছি, সবাই নিজের নিজের স্পনসর। ব্রেকফাস্ট এর সর্বমোট বিল আমরা সবার মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দিয়েছি। ’
অনুষ্ঠান শেষে ছিল কোরাস গান ও র্যাফেল ড্র। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি