হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে বদু প্যানেলের পক্ষে ব্যাপক প্রচারনা
Published: 26th, January 2025 GMT
বদু প্যানেল এগিয়ে চলো,আমরা আছি তোমাদের সাথে’ এই শ্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন (২০২৫-২০২৭) নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন হোসিয়ারী দোকান মালিকগণ আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বদু প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে ভোটারদের নিকট ভোট চেয়েছেন।
রবিবার ( ২৬ জানুয়ারী) সকালে শহরের নয়ামাটি এলাকার বিভিন্ন হোসিয়ারী মার্কেট এর দোকান গুলেতে ব্যাবসায়ীরা বদু প্যানেলের পক্ষে এ প্রচার-প্রচারণা চালান।
এ সময় নয়ামাটি এলাকার বিভিন্ন হোসিয়ারী দোকানের মালিকরা জানান, আপনারা জানেন আগমী ৩ ফেব্রয়ারী বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আলহাজ্ব বদিউজ্জামান বদু প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারনা করছি।
আমরা মনে করি এই প্যানেলের যারা প্রার্থী হয়েছেন সকলেই যোগ্য ব্যাক্তি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই প্যানেলটি নির্বাচিত হলে বিগত আমলে কুক্ষিগত হওয়া আমাদের এই হোসিয়ারী পল্লীটি পূণরায় স্বাভাবিক ভাবেই শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। আসন্ন নির্বাচনে এই বদু প্যানেলের বিজয় সুনিশ্চিত হবেই হবে ইনশাল্লাহ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নয়ামাটি এলাকার জয় প্রডাক্টস হোসিয়ারী এর মালিক কার্তিক, মুন হোসিয়ারী মালিক নবীন, পথের সেতু ধেনু সরকার, মায়ের দোয়ার মনির হোসেন, আর, এস এর দুলাল, মুন্নী হোসিয়ারীর সাদেকুর রহমান, মদিনা ট্রেডার্সের মো: জাহাঙ্গীর আলম, স্বন্ন সিড়ির বাহার, শোভা হোসিয়ারী রিপন পোদ্দার, মো: ফারুক, রাব্বানী,মিরাজ মুন্সি, মোতালেব, সুভাষ বাবু সহ অত্র মার্কেটের অন্যান ব্যাবসায়ী বৃন্দ।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৮ জানুয়ারি প্রার্থীদের ক্রমিক নম্বরসহ তালিকা প্রকাশ করা হয় এবং ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।