ছাত্রলীগের পোষ্টার লাগানোয় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ছাত্রদলের আল্টিমেটাম
Published: 26th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ ও সরকারি মহিলা কলেজ এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান ও সরকারি দপ্তরের সামনে শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের নামে ছাত্রলীগের পোস্টারিং এর প্রতিবাদে জড়িতদের গ্রেপ্তারে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিফাতের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া রেলষ্টেশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বেড়িয়ে শহর প্রদক্ষীণ করে। শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পোস্টার সাঁটানোর সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চব্বিশ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কদম রসুল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিফাত বলেন, ডিসি-এসপি কে বলতে চাই আপনারা যদি জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করেন তাহলে আপনাদের অফিস ঘেরাও করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন।
দোলন বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হবার পরও তাদের নেতাকে খুশি করার জন্য ব্যানার পোস্টার লাগাচ্ছে। শান্ত নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। রাতের আধারে নয় দিনের আলোতে আসো। দাত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। নারায়ণগঞ্জের মাটিতে আসার দুঃসাহস দেখাবেন না।
প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেয়ার পরও তারা বের করতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেই দুষ্কৃতিকারীকে খোজে বের করেছি, তার নাম অনিক। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডিসি অফিস ঘেড়াও করা হবে।
আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্র দলের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত, ফতুল্লা থানা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব রিয়াদ দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহম্মেদ, এনায়েত নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জুম্মন আহমেদ ইমন সহ আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আকাশ বাছির, কদম রসুল ছাত্রদলের নেত্রী কাজী কর্ণিয়া, আহমেদ শ্রাবন্তী,মাশরাফি আলম,মো:রাহাত, হামিম আহমেদ,মুক্তার হোসেনসহ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ছ ত র দল ছ ত রদল র স ব ক স ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ও পাঁচ সহযোগী
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়ের করা দুই মামলায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আট দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য পাঁচজন হলেন আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর সহযোগী মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪), হাসান (৪৩) ও মনিরুজ্জামান (২৪)।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম প্রথম আলোকে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দুই মামলায় আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নতুন করে ওই দুই মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়নি।
গত ১৭ মার্চ রাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে গোপন বৈঠকের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকা থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ছয়জন এবং ময়মনসিংহ থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। তাঁদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৮ মার্চ র্যাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।
মামলা দুটিতে আতাউল্লাহসহ ছয়জনকে ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তবে মামলায় তিন থেকে আট বছর বয়সী পাঁচ শিশুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তারা মায়েদের সঙ্গে আছে। ওই ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ১৩ এপ্রিল আরসার প্রধান ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দুই মামলায় আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।