সনাতন ধর্মই ভারতের জাতীয় ধর্ম: যোগী আদিত্যনাথ
Published: 26th, January 2025 GMT
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ বলেছেন, সনাতন ধর্মই ভারতের জাতীয় ধর্ম। রবিবার এনডিটিভির ‘মহাকুম্ভ সংলাপে’ তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
যোগী আদিত্য নাথ বলেন, ‘সনাতন ধর্ম মানবতার ধর্ম। এর অনুসারীদের উপাসনার পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু ধর্ম এক এবং সেটি সনাতন ধর্ম। মহাকুম্ভ সনাতন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে।’
মহাকুম্ভকে ‘মহাপর্ব’ আখ্যা দিয়ে বিজেপির এই নেতা বলেন, “১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে প্রায় ছয় কোটি ভক্ত সঙ্গমে স্নান করেছেন। এই মহাপর্ব ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। এখানে কোনো বিভেদ নেই। যারা সনাতন ধর্মের সমালোচনা করতেন, তাদের বলি, নিজ চোখে দেখুন, সনাতনের বশ্যতা স্বীকার করুন।’
‘সঙ্গম’ হলো গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতী নদীর মিলনস্থল, যা প্রয়াগরাজের পবিত্রতম স্থানগুলোর মধ্যে একটি।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার হামলা-ভাঙচুরের দায় এড়াতে পারে না
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরের দায় অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরীর শোকসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে সিপিবি। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ঢাকার নিজ বাসভবনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শোকসভার সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা তো আরও বহু, হাসিনার আস্তানা তো বহু জায়গায় ছিল। এটা (৩২ নম্বর) তো হাসিনার আস্তানা না। এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাসা।’
হাসিনা পুলিশি রাষ্ট্র কায়েম করেছিল, সেটা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত শত্রু ছিল গণতন্ত্রবিরোধী সরকার।
দেশের পরিস্থিতি প্রতিদিন জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। ‘কতসব খেলা চলছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আক্রমণ আসছে, বুর্জুয়া দলের ওপর নির্ভর করে সেই আক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে না।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরের দায় সরকার এড়াতে পারে না মন্তব্য করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন। ‘গণ–অভ্যুত্থানের চেতনা কোনো গোষ্ঠীর কাছে ইজারা দেননি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা কিছু বললেই মব তৈরি করবে। দেশ–বিদেশ থেকে উসকানি দেওয়া হবে। সরকার সহযোগিতা করছে না বললেও প্রকারান্তরে তাঁদের প্রশ্রয় ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না।’
বামজোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা ঘোষণা দিয়ে সারা দেশেই এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের স্লোগান থেকে পরিষ্কার তারা আসলে কারা।
সহিদুল্লাহ চৌধুরী শিক্ষায় সব সময় গুরুত্ব দিতেন বলে উল্লেখ করেন তাঁর সন্তান তারেকুজ্জামান চৌধুরী।
শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি আবদুস সবুর, নারীনেত্রী লক্ষ্মী চক্রবর্তী, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা প্রমুখ।
সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ শোকসভাটি সঞ্চালনা করেন।