এমনভাবে সংস্কার করুন যাতে ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয়: রিজভী
Published: 26th, January 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “ আপনার সংস্কার করবেন করুন, তবে এমনভাবে সংস্কার করুন যাতে আর কোনো দিন ফ্যাসিবাদের উত্থান না হয়। তা না হলে নানাভাবে তারা মাথা চাড়া দেবে।”
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের একযুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “চালের দামও আপনাকে (অন্তর্বর্তী সরকার) কমাতে হবে। আপনি জুলাই ঘোষণার কথা বলবেন, আপনি অনেক সংস্কারেে কথা বলেবেন, কিন্তু মানুষের পেটে ক্ষুধা থাকবে, তখন তারা ওই ঘোষণার কিছুই শুনবে না। আপনাকে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। অপরাধীদেরকে ধরতে হবে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা আনতে হবে। মানুষ যাতে কমপক্ষে মোটা চাল ও মোট কাপড় পড়ে জীবন ধারণ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। এটাই জিয়াউর রহমান নিশ্চিত করেছিলেন, এটাই তার শ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল।”
আরো পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক পলাতক ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দিতে পারে: এ্যানি
তরুণদের রাজনৈতিক দলকে স্বাগত: তারেক রহমান
রিজভী বলেন, ‘দেশে কোনো শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। আওয়ামী লীগের ১৭ বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে। নৈতিকতার শিক্ষা তো মানুষকে নৈতিকভাবে উন্নত করে, মানুষের চরিত্রকে শক্তিশালী করে। শেখ হাসিনা এটিকে ধসিয়ে দিয়েছেন। শুধু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েঠে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিযোগিতা চলেছিল। কোনো শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, শুধু বাপজানের নাম, ভাই-বোনের নাম ছাড়া আর যেন কোনো ইতিহাস নেই, কোনো শিক্ষা নেই। এইভাবে জোর করে দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ হাসিনা।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “যে যন্ত্রপাতি দিয়ে শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদি তৈরি করেছে, সেই যন্ত্রপাতি অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সংস্কার করতে হবে। নুতন করে ঢেলে সাজাতে হবে পুলিশকে। তাহলেই হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। বিচার বিভাগকে সত্যিকারের স্বাধীনতা দিতে হবে। একজন মানুষ যদি নির্যাতিত হয়, তাহলে আদালতে গিয়ে যেন ন্যায় বিচার পান সে নিশ্চয়তা দিতে হবে।”
মানিকগঞ্জ জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ডা.
ঢাকা/চন্দন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ স স ক র কর ব এনপ র স ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বাকৃবিতে শেষ হলো ২১ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের ২৫ ও ২৬তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় বাকৃবির গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (জিটিআই) প্রশিক্ষণ কক্ষে এ সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ২১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং জিটিআই যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
প্রশিক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন, বাকৃবির নয়জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের একজন, নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের একজন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন এবং গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জিটিআই-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলিম প্রমুখ।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “নিজেকে এমনভাবে যোগ্য করে তুলুন, যাতে কর্মক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতনরা আপনাকে খোঁজে, ভরসা রাখে ও প্রশংসা করে। সততা, পরিশ্রম ও আচার-আচরণ মানুষের প্রকৃত পরিচয়। নিজেকে এমন অবস্থানে নিয়ে যান, যেখানে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ও আপনাকে কাজের জন্য খুঁজবে। সর্বাবস্থায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন, রাস্তাঘাট নোংরা করবেন না এবং অন্যদেরও সচেতন হতে উৎসাহ দিন।”
তিনি বলেন, “ছাত্র সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের জোর না করে আচরণ দিয়ে আকৃষ্ট করার পরামর্শ দেন। টাকার পিছনে না ছুটে নিজেকে এমনভাবে গড়ুন, যাতে টাকা আপনার পিছনে ছোটে।”
অনুষ্ঠান শেষে সেরা প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী