সোনারগাঁয়ে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান ও জরিমানা
Published: 26th, January 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ফলের দোকানসহ তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ ও কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি ওয়াহেদ মোর্শেদ। অভিযানকালে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার দু’পাশের একটি ফলের দোকানসহ মোট ৫টি অবৈধ দোকানদারকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবুল হোসেন, আবু জাহের ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা।
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক ও স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে মহাসড়কের জায়গা দখল করে স্থায়ী ও অস্থায়ী পাঁচ শতাধিক স্থাপনা নির্মাণ করে প্রভাবশালী মহল। ওইসব স্থাপনায় দোকান প্রতি ১০-৫০ হাজার টাকা জামানত নিয়ে মাসিক ৩-১৫ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে আসছে যুগের পর যুগ।
এছাড়া প্রতিবার দখল উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই চক্রটি আবারও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি করে।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি ওয়াহেদ মোর্শেদ বলেন, বর্তমানে সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া এলাকায় মহাসড়কের দু’পাশের দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি। পরবর্তীতে জেল জরিমানার পরিমাণ আরো বৃদ্ধিসহ আরো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যেন এই জায়গা গুলোতে কোন ভাবেই আর অবৈধ দোকানপাট না বসতে পারে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুরুল মোর্শেদ বলেন, সরকারী জমিতে স্থাপনকৃত অবৈধ ৫টি দোকানকে চার হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় তিন শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
টিউশন শেষে বাসায় ফেরার পথে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের তৎপরতায় চার ঘণ্টার মধ্যে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম শাকিল আহমেদ। তিনি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সহ-সভাপতি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কুমিল্লা শহর থেকে ফেরার পথে কয়েকজন অপহরণকারী তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এরপর তার পরিবার ও বন্ধুদের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সহযোগিতায় প্রায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে শাকিলকে উদ্ধার করেন। এসময় এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়।
এবিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মুহসিন জামিল বলেন, রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে আমরা জানতে পারি সবুজকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আটকে রেখে টাকা দাবি করছে। গ্যাংয়ের সদস্যরা সবুজের মাধ্যমে ফোন দিচ্ছে। তারপর আমরা ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সাঈদ ভাইকে জানালে ওনারা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে। এরপর থেকেই পুলিশ সবুজের লোকেশন ট্রেস করতেছিল। পরবর্তীতে পুলিশ ও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪ ঘণ্টা পর একটা পরিত্যক্ত বিল্ডিং থেকে সবুজকে উদ্ধার করি।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের সদস্য সচিব মুহাম্মাদ রাশেদুল হাসান বলেন, সবুজের বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাঈদ আমাকে অবগত করে। সাথে সাথে ওসি কোতোয়ালিকে ফোন দিয়ে তা জানানো হয়। আমাদের মহানগর কমিটির একটি টিম কান্দিরপাড় অঞ্চলে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সবুজের লোকেশন শনাক্ত করা হয়। পুলিশ, বিভাগীয় চেয়ারম্যান মোরশেদ কাজেম স্যার, বৈবিছা-র সদস্যবৃন্দ, সবুজের সিনিয়র-জুনিয়র-ব্যাচমেট সবার তৎপরতায় আনুমানিক রাত ৩টায় সবুজকে উদ্ধার করতে আমরা সমর্থ হই।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তিন থেকে পাঁচজনের একটি চক্র শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে, বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।