আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার অপেক্ষায়। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, অতীতের সব ব্যর্থতা মুছে ঘুরে দাঁড়াতে চায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। রাজপথে নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে হলে নেতাদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

তাই জেলা  কমিটি ঢেলে সাজাতে চাইছে হাইকমান্ড। জেলা বিএনপির নতুন কমিটির তালিকা ইতিমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জমা দিয়েছে তারা।

এদিকে জেলা বিএনপির দুই শীর্ষ পদেই থাকছে নতুন চমক। বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্রমতে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে নতুন কমিটি। ওখান থেকে গ্রীন সিগন্যাল পেলেই দলীয় মহাসচিব স্বাক্ষরিত কমিটি ঘোষণা করবে।

সবকিছু ঠিক ঠাক শিগগিরই আসছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ  আহ্বায়ক কমিটি। পুরোনো ও নতুনদের সমন্বয়ে গঠিত হতে পারে নতুন কমিটি। তরুণ নেতৃত্ব অগ্রাধিকার পাচ্ছে  এই কমিটিতে। 

তারই জন্য সাংগঠনিক দিকসহ সবকিছু বিবেচনা করে গত ৫ আগস্টের আগে যেসকল নেতারা স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের জীবন বাজি রেখে দলীয় ঘোষিত কর্মসূচি নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন সেইসব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা এবং সাবেক জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও তরুণ নেতৃত্বের হাতে দেয়া হচ্ছে দায়িত্ব।  

আর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শক্তিশালী কমিটি করতে দলের সিনিয়র নেতাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবকিছু ঠিকঠাক চলতি মাসের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি হতে পারে বলে জানান বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা।

তারা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটির তালিকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন কমিটিতে থাকবে অনেক চমক।

কমিটিতে আসছেন নতুন অনেকেই। আসছেন সাংগঠনিকভাবে সুপরিচিত ও ইমেজধারী নেতাদের পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতাদের কেউ কেউ। বিগত সময়ের আন্দোলন সংগ্রামে রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এমন নেতাদেরও মূল্যায়ন করা হচ্ছে এ কমিটি গঠনে।

জানা যায় , নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটিতে সভাপতি অথবা আহ্বায়ক হিসেবে আলোচনায় রয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আব্দু আলোচনায় রয়েছে। তাদের মধ্যে যেকোনো একজনকে সভাপতি কিংবা আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কারন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম তাদের ভূমিকা ছিল প্রশংসিত। 

সূত্র আরও জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক সভাপতি পদ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও সাধারণ সম্পাদক বা সচিব পদটি প্রাথমিক ভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক এই পদে দেখা যেতে পারে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক  এক সময়ের তুখোর ছাত্রনেতা মাশুকুল ইসলাম রাজিবকে। জেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও বিএনপি নীতিনির্ধারকদের তার নাম ডাক বাজছে। 

এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে আলোচনায় রয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার। এরা এর আগেও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। 
আর গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকেই যাদের ভূমিকা সব থেকে বেশি লক্ষ্য করা গেছে এদেরকে মূল্যায়ন করে জেলা বিএনপির কমিটি দেওয়া হতে পারে। 

উল্লেখ্য , গত (২৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। আর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় অতিসত্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র কমিটি ঘোষণা করা হবে।

আর গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের এই কমিটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে থাকে। অভিযোগ তদন্তে একটা কমিটি গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সেই কমিটির সুপারিশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হল।

প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ সালের ১৮ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন সভাপতি ও গোলাম ফারুক খোকন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ র ন র য়ণগঞ জ জ ল ব এনপ র স ব ক ব এনপ র ন ব এনপ র ক ত কর ম কম ট র কম ট ত র কম ট সবক ছ গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কিশোর, ৬ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার   

ইন্দুরকানীর নিখোঁজ কিশোর সাব্বির হোসেনকে ছয় দিন পর ঢাকার নারায়ণগঞ্জের এক রিকশাচালকের বাসায় পাওয়া গেছে। তিন দিন আগে রাস্তায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করেন ওই রিকশাচালক। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ইন্দুরকানী গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল শেখের ছেলে সাব্বির হোসেন কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে নেমে  সেখান থেকে আটো গাড়িতে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল। এ সময় অটোতে থাকা অজ্ঞান পার্টির লোকজন তাকে অজ্ঞান করে টাকা, মোবাইল ফোনসহ সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে তাকে নারায়ণগঞ্জে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। গভীর রাতে সাব্বিরকে পরে থাকতে দেখে রিকশাচালক আব্দুর জব্বার তাঁকে তাঁর বাসায় নিয়ে যায়। তিন দিন পর তার জ্ঞান ফেরে। শনিবার বিকেলে সাব্বির ফোন করে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। 

সাব্বিরের বাবা জলিল শেখ বলেন, ছেলের খোঁজ না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। খুব চিন্তায় ছিলাম। তাকে অজ্ঞান পার্টি ধরেছিল। এক রিকশাচালক ভাই তাকে উদ্ধার করেছে। তাঁর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। 

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মারুফ হোসেন জানান, নিখোঁজ সাব্বিরকে ঢাকায় পাওয়া গেছে বলে তার পরিবার জানিয়েছে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পরিবেশবান্ধব ভেগান লেদার উদ্ভাবন করে সাড়া জাগালেন নারায়ণগঞ্জের শিক্ষার্থী সাদিয়া
  •  নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
  • সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী ক্যাডার দেলু প্রকাশ্যে, আতংকে এলাকাবাসী  
  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠির মাঝে ফ্রি থেরাপী সেবা প্রদান
  • নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ ৮ জন দগ্ধ
  • যুবদল কর্মীর বাড়িতে গুলি, পথচারী আহত
  • যানজট কমায় শহরে স্বস্তি
  • গাছ রক্ষায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে : ডিসি
  • অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কিশোর, ৬ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার
  • অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে কিশোর, ৬ দিন পর ঢাকা থেকে উদ্ধার