অল্পের জন্য রক্ষা পেল বনলতা এক্সপ্রেসের হাজারও যাত্রী
Published: 26th, January 2025 GMT
হঠাৎ করে বেঁকে যায় রেললাইন। স্লিপার লক ভেঙে মূল লাইন থেকে বেশ দূরে সরে যায় একটি লাইন। ঢাকা-জয়দেবপুর রেলপথের গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় বেঁকে যাওয়া রেললাইনটি দেখতে পান সেখানে কাজ করতে থাকা কর্মীদের। তারা সেখানে লাল নিশান টাঙিয়ে দেন। পরে দূর থেকে বিপদ সংকেতটি চোখে পড়ে লোকোমাস্টারের। এতে করে বেঁকে যাওয়া অংশ থেকে মাত্র ৫০ মিটার আগে ট্রেনটি থামাতে পারেন। ফলে বড় দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পায় দ্রুতগামী বনলতা এক্সপ্রেসের এক হাজার ২০০ যাত্রী।
রোববার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় তৃষা হারবালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও রেলওয়ে সূত্র জানায়, ১ হাজার ২০০ যাত্রী নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে ধীরাশ্রম এলাকায় প্রবেশ করার পরপরই লোকোমাস্টার রেললাইনের ওপর বিপদ সংকেত দেখতে পান। পরে তিনি বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেঁকে যাওয়া অংশ থেকে মাত্র ৫০ মিটার সামনে ট্রেনটি থামাতে পারেন।
স্থানীয়রা জানায়, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসার কিছুক্ষণ আগেও একটি ট্রেন এই লাইন অতিক্রম করে। তখনও লাইনটি বাঁকা ছিল না। হঠাৎ করেই লাইনটি বেঁকে যায়।
বনলতা এক্সপ্রেসের পরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, রেললাইনের স্লিপারের লকগুলো খুলে যাওয়া ও লাইন বেঁকে যাওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।
গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার হানিফ আলী বলেন, শীতকালে এভাবে রেললাইন বাঁকা হয়ে যাওয়ার ঘটনা এর আগে ঘটেনি। তবে গ্রীষ্মকালে প্রচণ্ড তাপে এমনটা হয়। ট্রেনের চাকার ঘর্ষণের কারণে লাইনটি বেঁকে গেছে কি না তদন্ত করছি।
তিনি আরও বলেন, খুব দ্রুতই আমরা লাইনটি মেরামত করতে সক্ষম হয়েছি। পরে বিকেল ৪টার দিকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই
নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।
এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’
গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।