পরনে সবুজ রঙের ভারী কাঞ্জিভরম শাড়ি। গলায় সোনালি রঙের নেকলেস। কপালে টিপ, সিঁথিতে শোভা পাচ্ছে সিঁদুর। এমন সাজে পাওয়া গেল ভারতীয় বাংলা সিনেমার নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলির বোন অভিনেত্রী দেবশ্রী গাঙ্গুলিকে।

দেবশ্রী গাঙ্গুলি বেশ কিছু ছবি নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। ছবিগুলো দেখে অনেকে তার রূপের প্রশংসা করছেন। কিন্তু বিপত্তি ঘটেছে দেবশ্রীর সিঁথির সিঁদুর নিয়ে। কারণ বেশ আগে এ অভিনেত্রীর দ্বিতীয় সংসারে বিচ্ছেদ ঘটেছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, তৃতীয়বারের মতো কি বিয়ে করলেন এই অভিনেত্রী?

দেবশ্রীর তৃতীয় বিয়ের আলোচনা নিয়ে যখন ব্যস্ত নেটিজেনরা, তখন নীরবতা ভাঙলেন তিনি। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে দেবশ্রী বলেন, “মল্লিকার (বান্ধবী) বিয়েতে সিঁদুরে পরে যাওয়ার পর থেকে শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছি। আসলে খানিকটা বিরক্ত আমি। সে দিন আমি যে শাড়িটা পরেছিলাম, যেমন সাজগোজ করেছিলাম তার সঙ্গে সিঁদুরটা মানানসই। সেটা না পরলে সাজটাই অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছিল, তাই পরেছিলাম।”

আরো পড়ুন:

যে তারকারা পাচ্ছেন পদ্ম পুরস্কার

‘আমার কাছে বিয়েটা ভীষণ আনন্দদায়ক, মজার আর ফুলফিলিং’

সংসার ভাঙার পরও সিঁদুর পরার যুক্তি ব্যাখ্যা করে দেবশ্রী গাঙ্গুলি বলেন, “আমি তো বিবাহবিচ্ছিন্না, বিধবা নই। আমার সন্তানের বাবা এখন বেঁচে আছেন। তাই আমি সিঁদুর পরতেই পারি। আর সিঁদুর পরার জন্য এত কিছু ভাবার দরকার সত্যিই আছে কি? আমি এমন কিছু করছি না, যার জন্য সমাজের ক্ষতি হচ্ছে।”

২০২১ সালের এপ্রিলে সহকর্মী অমিত ভাটিয়ার সঙ্গে ঘর বাঁধেন দেবশ্রী। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের দশদিন পরই নানাভাবে দেবশ্রীকে অত্যাচার শুরু করেন অমিত ভাটিয়া; যা পরবর্তীতে মামলা পর্যন্ত গড়ায়। সর্বশেষ বিচ্ছেদের মাধ্যমে আলাদা হয়ে যান তারা।

এর আগেও দেবশ্রীর তৃতীয় বিয়ে নিয়ে নানা জল্পনা চাউর হয়েছিল। সত্যি কি তার জীবনে নতুন কেউ এসেছে? ফের বিয়ে করার বিষয়েই বা ভাবছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে দেবশ্রী বলেন, “এমন কোনো বিষয় নেই, আপাতত বিয়ের কথাও ভাবছি না।”

‘জল থই থই ভালোবাসা’ সিরিয়ালে অপরাজিতা আঢ্যর বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন দেবশ্রী। তা ছাড়া ‘ফাটাফাটি’ সিনেমায়ও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র দ র পর

এছাড়াও পড়ুন:

বিক্ষোভ সমাবেশের আগেই সিলেট ডিসি অফিসের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল অপসারণ

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ম্যুরাল অপসারণ করা হয়েছে। তবে কে সেটি সরিয়েছে তা জানা নেই বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

হযরত শাহজালাল (রহ.) তাওহিদি কাফেলার ব্যানারে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সমাবেশের আগে সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ম্যুরাল ভাঙতে গিয়ে দেখেন যথাস্থানে সেটি নেই।

গত কয়েকদিন ধরে সিলেটের আলেম সমাজের একটি অংশ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল অপসারণের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আসছিলেন। ২৬ জানুয়ারি আলেম সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকও হয়। বৈঠকে সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল উলামায়ে কেরাম, রাজনৈতিক, সামাজিক, ছাত্র ও ইমাম সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ম্যুরাল অপসারণে তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সেটি না সরালে তারা এটি সরিয়ে নেবেন বলে হুমকি দেন।

ম্যুরাল অপসারণ করেছেন কিনা, এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ তাদের পক্ষ থেকে কোনোভাবে সেটি সরানো হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ