খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘট
Published: 26th, January 2025 GMT
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন শ্রমিকরা। তাদের ধর্মঘটের কারণে খুলনাসহ ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুন তেল ডিপোর ট্যাংকলরি শ্রমিকরা এ কর্মসূচির ডাক দেন। এ সময় খুলনার তিনটি জ্বালানি তেলের ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।
ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এনাম মুন্সী।
আরো পড়ুন:
শ্রমিকলীগ নেতা নাছিরের গ্রেপ্তার দাবিতে সমন্বয়কদের আল্টিমেটাম
জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়ল চাকরিচ্যুত শ্রমিকরা
শ্রমিকরা জানান, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজমের মুক্তির দাবিতে দুপুর ১টায় নগরীর কাশিপুর মোড়ে রাস্তার ওপর ট্যাংলরি দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এ সময় রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা হয়। এতে বক্তব্য দেন- ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এনাম মুন্সী, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী ও শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজু ।
ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এনাম মুন্সী বলেন, “সমাবেশ শেষে বিকেল ৩টার দিকে ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জরুরি বৈঠকে বসেন। এ সময় খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে বিকেল ৫টার মধ্যে মুক্তি না দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। বিকেল ৫টার পর অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত আসে।”
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে একটি মামলায় রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা
ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)।
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে।
একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।