গণমানুষের কাছে ‘নয়া মানুষ’ সিনেমা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বিকল্প প্রদর্শনীর ঘোষণা দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে প্রদর্শনীটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে চলে এ প্রদর্শনী।

এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ জানুয়ারি ও আগামী ১ ফেব্রুয়ারি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে স্ব চিন্তনের আয়োজনে বিকাল সাড়ে ৪টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হবে সিনেমাটির প্রদর্শনী। 

প্রদর্শনী নিয়ে নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “দেশের একটা বিশাল অংশের মানুষ বিভিন্ন কারণে সিনেমা হলবিমুখ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সিনেমা দেখার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ত্যাগ করেছে। কিন্তু ‘নয়া মানুষ’ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে দেখার মতো সিনেমা। সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখাটা ব্যয়বহুল, যা বহন করার সামর্থ্য অনেকের নেই। তাই আমরা এই বিকল্প প্রদর্শনীর মাধ্যমে গণমানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই সিনেমাটি।”

সিনেমার কাহিনিকার আ মা ম হাসানুজ্জামান বলেন, “আমরা মানুষের যে আত্মিক সম্পর্ক তথা মানবিক দায়িত্ব, তা তুলে ধরতে চেয়েছি ‘নয়া মানুষ’ সিনেমার গল্পে। কারণ এই বিষয়টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে আত্মিক ও মানবিক দায়িত্বগুলো সম্পর্কে তারা সচেতন হবে। তাই সিনেমাটি সবার দেখা উচিত।” 

এতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আ মা ম হাসানুজ্জামান, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি, শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চরের মেহনতি মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে সোহেল রানা বয়াতি নির্মাণ করেছেন তাঁর প্রথম সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। ৬ ডিসেম্বর এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালুচরে’ গল্প অবলম্বনে সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরি করেছেন মাসুম রেজা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।

এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ