মুন্সীগঞ্জে বাড়িতে ঢুকে মা জরিনা বেগম ও ছেলে জিহাদ মীরকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে জরিনাকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলি তার গাল ঘেষে চলে গেলেও ছেলে জিহাদ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দির চরডুমুরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধ জিহাদ ও আহত জরিনা বেগমকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুরে সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িতে ঢুকে মা-ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়। আর একটি গুলি তার মায়ের গাল ঘেষে চলে যায়। 

হাসপাতালটির জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ডা.

আতাউল করিম জানান, জরিনা বেগমের শরীরে গুলি পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর গাল কেটে গুলি বেরিয়ে যায়। এতে গালে জখম রয়েছে। তাঁর ছেলের অবস্থা গুরুতর। 

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ