লায়লা কানিজের রিমান্ড শুনানিতে মুন্নী সাহা প্রসঙ্গ
Published: 26th, January 2025 GMT
ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শুনানিতে উঠে আসে সাংবাদিক মুন্নী সাহা প্রসঙ্গ।
গত ১৫ জানুয়ারি ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
শেরপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে স্মারকলিপি
খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন হাসান হাফিজ
দুদক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, “সহকারী প্রফেসর হিসেবে তিনি চাকরি করেন। তার সম্পদের সোর্সের অস্তিত্ব নাই। চাকরি জীবনে যা আয় করেছেন তার বাইরে যেসব সম্পদ রয়েছে, সেগুলো অবৈধভাবে অর্জিত। তার এসব সম্পদের আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি। আলোচিত ছাগলকাণ্ডের মতিউরের স্ত্রী, তার কাছে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ রয়েছে। তিনি কোনো মানিলন্ডারিং করেছেন কি না এবং অবৈধ সম্পদের তথ্য জানতে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য তার সাত দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।”
আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শাহান শাহ তাপস বলেন, “তার বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিতভাবে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। ট্রায়ালে এটা প্রমাণ করব। তার স্বামী মতিউরের কারণে এ মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সবকিছু পূর্ণাঙ্গভাবে আদালতে উপস্থাপন করেছি। তাকে হেনস্তা করতেই এ মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন দেওয়া হোক।”
এ সময় লায়লা কানিজের আরেক আইনজীবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান সাংবাদিক মুন্নী সাহা প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। তখন দুদক বলেছিল, তার বিরুদ্ধে ১১২ কোটি টাকা লেনদেনের খবর। তাকে কিন্তু গ্রেপ্তার করেনি। ছেড়ে দিয়েছে।”
তখন দুদক প্রসিকিউটর মামলার ম্যারিট নিয়ে কথা বলতে বলেন। আইনজীবী মুহাম্মদ শাহান শাহ তাপস বলেন, “ত্রুটিপূর্ণ এজাহার, মিথ্যা বলেছেন।” তখন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, “সত্যা মিথ্যা ন্যায়বিচারের মাধ্যমে প্রমাণ হবে। আদালত ন্যায়বিচার করবেন।”
পরে আদালত লায়লা কানিজের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে একদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
ঢাকা/মামুন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
পেছালো খালেদা জিয়ার নাইকো মামলার সাক্ষ্য
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আট জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক সাহেদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ছিলো। তবে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
এদিন মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া জানান, মামলায় ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের সাক্ষ্য হয়েছে।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত বছর ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিন জন পলাতক রয়েছেন।
ঢাকা/মামুন/ইভা