দেশে জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৫ দিনে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬৭ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দৈনিক গড়ে এসেছে ৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ২৫ দিনে দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার; বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৭০ হাজার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২৪ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। আগের বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮০ কোটি  মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার; আগস্টে ২২২ কোটি ৪১ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে-তে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুনে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ম ট য ন স এস ছ

এছাড়াও পড়ুন:

টাকা জমা রেখে ১৩% পর্যন্ত মুনাফা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) ও প্রদেয় ভবিষ্য তহবিলে (সিপিএফ) টাকা জমা রাখার বিপরীতে মুনাফা হার গত অর্থবছরের মতই ১১ থেকে ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের জন্য এ হার নির্ধারণ করে আজ বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মুনাফা মিলবে ১৩ শতাংশ। ১৫ লাখ ১ টাকা থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে মুনাফা পাওয়া যাবে ১২ শতাংশ এবং ৩০ লাখ ১ টাকার বেশি টাকা জমা রাখার বিপরীতে ১১ শতাংশ মুনাফা মিলবে।

জিপিএফ-সিপিএফে টাকা রাখলে সরকারি কর্মচারীরা একসময় ১৩–১৪ শতাংশ সুদ পেতেন। এই হারকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কমিয়ে ১১ থেকে ১৩ শতাংশ করা হয়। গত ২০২৩–২৪ অর্থবছর এ হার অব্যাহত ছিল। বুধবার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে একই সুদহার বহাল রাখা হয়। তবে সঞ্চয়পত্রের সুদও এত বেশি নয়—সর্বোচ্চ  ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

একসময় সরকারি কর্মচারীরা মূল বেতনের ৮০ শতাংশ পর্যন্ত জিপিএফে টাকা রাখতে পারতেন। তবে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ বিভাগ সুদের হার না কমিয়ে জিপিএফে টাকা রাখার সীমা কমিয়ে মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। যেসব কর্মকর্তা–কর্মচারী রাজস্ব খাত থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন জিপিএফে। আর যারা রাজস্ব খাতের বাইরে থেকে বেতন পান, তারা টাকা রাখেন সিপিএফে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের মতো সিপিএফভুক্ত সব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সংগতি এক রকম না হওয়ায় তারা নিজস্ব আর্থিক বিধিবিধানের আলোকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মচারীদের জন্য জিপিএফের স্লাবভিত্তিক মুনাফার হারকে সর্বোচ্চ ধরে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী মুনাফা হার নির্ধারণ করতে পারবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২১ কোম্পানির অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে
  • সরকারি ব্যয়ের ৬১ শতাংশই সুদ বেতন পেনশনে
  • আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরও বাড়ল
  • আয়কর রিটার্ন জমার সময় বাড়তে পারে ১৫ দিন
  • ১১ বছরে কমেছে শিল্প খাতের অবদান: বিবিএস
  • টাকা জমা রেখে ১৩% পর্যন্ত মুনাফা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা
  • ৬ কোম্পানির অর্ধবার্ষিকে মুনাফা বেড়েছে
  • মুনাফায় বেক্সিমকো ফার্মা, লোকসানে বেক্সিমকো-শাইনপুকুর
  • ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ টন চাল আনছে সরকার
  • অর্ধবার্ষিকে দুই কোম্পানির মুনাফা কমেছে