গাজীপুরে কালিয়াকৈরে সহস্রাধিক দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই ইয়াও ওয়েন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার শফিপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় চীনা দূতাবাসের সহায়তায় কম্বল বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি করে ফুড প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এতিম শিশু ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

আরো পড়ুন:

অতীতকে স্মরণ রাখলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না: আযাদ

‘দেশ নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না’

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.

শফিকুর রহমান বলেন, ‍“আমাদের খুবই কাছের রাষ্ট্র চীন। ১৯৭৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী আরো সুদৃঢ় হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ হিসাবে চীন আমাদের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, আলোচিত পদ্মা সেতু এবং কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে কারিগরি ও নানাবিধ সহযোগিতা করেছে। পাশাপাশি সড়ক, রেল, বিদ্যুৎখাতসহ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ, কোভিড-১৯ প্রটোকলের আওতায় বাংলাদেশকে সিনোফার্মের টিকা সরবরাহ দুই দেশের অকৃত্রিম বন্ধুত্বের অসামান্য নিদর্শন বহন করে।”

জামায়াতের আমির বলেন, “চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে চীনের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকবে, যা এদেশের জনগণের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও বেশি গভীর ও নিবিড় করবে।”

অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জামায়াত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চীনের রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে ওয়ামী স্কুলের শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান।

ঢাকা/রফিক/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ