১৭নং ওয়ার্ডে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগিয়ে সরকারি জায়গা দখল!
Published: 26th, January 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা দলের নাম ব্যবহার করে কোনো প্রকার দখলবাজি করা যাবে না ।
সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে এবার দলীয় ক্লাব বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ দলের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আওয়ামী দোসরদের সাথে নিয়ে তাদের সাথে আতাত করে একক সিদ্ধান্তে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারি জায়গা দখলের জন্য কৌশলী হয়ে উঠেছেন।
এই বিষয় নিয়ে সেইসময়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ ও প্রকাশ হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।
এতো কিছুর পরও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি জায়গা ও ড্রেনের উপর দিয়ে তিনি এই দলীয় ক্লাব নির্মাণ করছেন। এতে করে এলাকার মধ্যে চাঞ্চলন সৃষ্টি হয়েছে। আর বিএনপি সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। ফারুকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মহানগর বিএনপির প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি ফারুক আহমেদ নয়াপাড়ার মোশারফ হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি জায়গায় বিএনপিরে সাইনবোর্ড সাজিয়ে তিনি এখানে ১৭ ওয়ার্ড বিএনপির দলীয় কার্যালয় নির্মাণের নামে ক্লাব করছেন।
তবে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদের এরূপ কর্মকান্ডের বিষয়ে অবগত না ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি থেকে শুরু করে মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। ফারুক আহমেদ দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে দল বিরোধী এহেন কর্মকান্ডে মেতে উঠেছেন। আর এতে করে ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি ফারুক আহমেদ মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.
তিনি আরও বলেন, যদি সরকারি জায়গা দখল করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে কোন কিছু নির্মাণ করে তাহলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ফ র ক আহম দ ন ত কর ম দ সরদ র ব যবস থ দল য় ক সরক র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ঠিকাদার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২ প্রকৌশলীকে হুমকির অভিযোগ
খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগের বিরুদ্ধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুয়েটের একটি ভবনের ছাদের ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে লাভ আরও বেশি নির্ধারণের কথা বলেছিলেন ওই ঠিকাদার। এ নিয়ে প্রকৌশলীদের তিনি হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ প্রেক্ষাপটে কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মো. গোলাম কিবরিয়া সোমবার কুয়েট উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
সূত্র জানায়, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজ নিয়েছেন মোল্লা সোহাগ। কাজটি কয়েকদিন আগে শুরু হয়। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে ঠিকাদার সোহাগ প্রথমে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশিদ এবং অন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে তিনি গোলাম কিবরিয়াকেও গালাগাল ও হুমকি দেন। পরে তিনি একই পরিচয় দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে ফোনে গালাগাল ও হুমকি দেন।
উপাচার্যের কাছে দুই নির্বাহী প্রকৌশলী লিখিত অভিযোগে বলেন, ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মে ভ্যাট, আইটি ও ১০ শতাংশ প্রফিট বা লাভ (পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে নির্ধারণ করেন। ঠিকাদার সোহাগ ১০ শতাংশ লাভ কেন যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তাঁকে আরও বেশি লাভ দিতে হবে বলে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে জানান। এ কথা বলার পর প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও শেখ আবু হায়াতকে গালাগাল ও মারধরের হুমকি দেন সোহাগ। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত বলেন, রোববার বিকেল ৩টার কিছু আগে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে– ‘তুই চেয়ারের পরে বসে সবাইরে ১০ লাখ ২০ লাখ টাকার কাজ দিস। আমাকে দিছিস টেন পারসেন্ট লাভে।’ এই বলে আমাকে যাচ্ছেতাই বলে গালাগাল করেন। পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে আমাকে দেখে ছাড়বেন, আমার বাড়ি আক্রমণ করবেন, ফুলবাড়িগেটে গেলে আমাকে দেখে নেবেন– এসব বলে হিুমকি দেন।
নিজের সাংগঠনিক পরিচয় ও প্রকৌশলীকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন মোল্লা সোহাগ। তবে কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। মোল্লা সোহাগ বলেন, আমার নেতার অর্ডার আছে– আমি কোনো জায়গায় কোনো টেন্ডারেও যাই না, কোনো ঠিকাদারিতেও নেই। আমার কোনো কাজ কুয়েটে চলে না। আমার ট্রেড লাইসেন্সই নেই, কাজ পরের কথা। আমি তাদের (প্রকৌশলী) ফোন দিয়েছিলাম, কথা হয়েছে, তবে কোনো হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি।
কোনো কাজ চলছে না, তাহলে প্রকৌশলীদের কার হয়ে ফোন দিয়েছিলেন– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আবু হায়াত ও গোলাম কিবরিয়াকে ফোন দিলে ভালোভাবে জানতে পারবেন।’