বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা দলের নাম ব্যবহার করে কোনো প্রকার দখলবাজি করা যাবে না ।

সেই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে এবার দলীয় ক্লাব বানাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  এই নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানাগেছে, সরকারি জায়গা দখল করে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ দলের হাই কমান্ডের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আওয়ামী দোসরদের সাথে নিয়ে তাদের সাথে আতাত করে একক সিদ্ধান্তে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারি জায়গা দখলের জন্য কৌশলী হয়ে উঠেছেন।

এই বিষয় নিয়ে সেইসময়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ ও প্রকাশ হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। 

এতো কিছুর পরও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেন বিএনপির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি জায়গা ও ড্রেনের উপর দিয়ে তিনি এই দলীয় ক্লাব নির্মাণ করছেন। এতে করে এলাকার মধ্যে চাঞ্চলন সৃষ্টি হয়েছে। আর বিএনপি সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। ফারুকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মহানগর বিএনপির প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি ফারুক আহমেদ নয়াপাড়ার মোশারফ হোসেনের বাড়ির সামনের সরকারি জায়গায় বিএনপিরে সাইনবোর্ড সাজিয়ে তিনি এখানে ১৭ ওয়ার্ড বিএনপির দলীয় কার্যালয় নির্মাণের নামে ক্লাব করছেন। 

তবে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদের এরূপ কর্মকান্ডের বিষয়ে অবগত না ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি থেকে শুরু করে মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। ফারুক আহমেদ দলীয় নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে দল বিরোধী এহেন কর্মকান্ডে মেতে উঠেছেন। আর এতে করে ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এবিষয়ে ১৭নং ওয়ার্ড বিএনপি'র সভাপতি ফারুক আহমেদ মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্যে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.

আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, নির্বাচনের আগে কেউ দলীয় কিংবা ব্যক্তিগত অফিস নির্মাণ করতে পারবে না। যদি কেউ তা নির্মাণ সেটি তার ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব। দল তার দায় দায়িত্ব বহন করবে না। আর যদি কেউ অফিসের নাম করে কোন জায়গা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, যদি সরকারি জায়গা দখল করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে কোন কিছু নির্মাণ করে তাহলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ফ র ক আহম দ ন ত কর ম দ সরদ র ব যবস থ দল য় ক সরক র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

জন্মনিবন্ধনের তথ্য বলছে, বরিশালে র‍্যাবের অভিযানে নিহত ও আহত দুজনের বয়স ১৭

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় সাদা পোশাকে র‍্যাবের মাদকবিরোধী অভিযানে গুলিতে হতাহত দুজনই জন্মনিবন্ধনের তথ্য অনুযায়ী শিশু-কিশোর।

যদিও নিহত কলেজছাত্র সিয়াম মোল্লার বয়স ২২ ও আহত এসএসসি পরীক্ষার্থী রাকিব মোল্লার বয়স ২১ বছর বলে উল্লেখ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও র‍্যাবের পক্ষ থেকে করা মামলায় তাদের ওই বয়স উল্লেখ করা হয়।

দুই শিক্ষার্থীর বয়স বাড়িয়ে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ হিসেবে উল্লেখ করায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা মাদক ব্যবসায়ী কিংবা মাদকাসক্ত ছিল না বলে দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে উজিরপুরের সাহেবের হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

নিহত সিয়াম এই বিদ্যালয় থেকে গতবার এসএসসি পাস করে একই এলাকার আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাকিব মোল্লা এই বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

জন্মনিবন্ধন সনদের তথ্য অনুযায়ী, নিহত সিয়ামের জন্ম ২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। মৃত্যুর দিন ২১ এপ্রিল তার বয়স হয়েছিল ১৭ বছর ১ মাস ২৮ দিন। আর রাকিবের জন্ম ২০০৭ সালের ১ আগস্ট। সেই হিসাবে তার বয়স ১৭ বছর ৮ মাস ২০ দিন। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী দুজনই শিশু-কিশোর।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে র‍্যাব-৮-এর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বয়সের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাই এ ধরনের বিভ্রম হতে পারে। কারণ, অভিযানে যাওয়া র‍্যাবের সদস্যরা ওই দুজনকে চিনতেন না। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার জন্য অভিযানে গেলে সেখানে মাদক ব্যবসায়ী ১০-১১ জন মিলে র‍্যাব সদস্যদের ওপর হামলা করেছিলেন। এ জন্য আত্মরক্ষার্থে তাঁরা গুলি করতে বাধ্য হন। হামলায় র‍্যাবের দুজন সদস্যও আহত হয়েছেন।

র‍্যাবের অভিযানে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে উজিরপুর উপজেলার সাহেবেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে

সম্পর্কিত নিবন্ধ