৩২ দিন পর ক্যাম্পাসে এলো জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি
Published: 26th, January 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি ঘোষণার ৩২ দিন পর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেছে এ কমিটি।
কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কর্মসূচি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে তারা এতদিন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি বলে জানা গেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সমবেত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
এ সময় শাখা ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব সামসুল আরেফিনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সদ্য সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা।
সভায় তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ছাত্রদলের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।
এর আগে, গত ২৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটির ক্যাম্পাসে এতদিন প্রবেশ করতে বিলম্বের অন্যতম বড় বাধা ছিল পদবঞ্চিতদের একাংশের প্রতিবাদ। তারা কমিটিতে নিজেদের যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন।
তবে নবগঠিত কমিটির নেতারা জানান, তারা ইতোমধ্যে পদবঞ্চিতদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাদের অভিমান নিরসনের জন্য কাজ চলছে। অচিরেই সংগঠনের ঐক্য আরও দৃঢ় হবে বলে তারা আশাবাদী।
সদ্য সাবেক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই দেশের ক্রান্তিকালে জনগণের পাশে থেকেছে। আমি নবগঠিত কমিটির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল যেন সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আদর্শ সমুন্নত রাখে।”
নবগঠিত কমিটির সদস্য সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “ছাত্রদল সুদৃঢ়ভাবে ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। দেশ ও ইতিহাসের দায়কে মাথায় নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।”
আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, “নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকবে, এটা স্বাভাবিক। জবি শাখা ছাত্রদল একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠন। এখানে নেতৃত্বে আসতে ত্যাগ ও শ্রমের মূল্যায়ন করা হয়। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল গত কমিটির ২৮৬ জনের মধ্যে ২৭ জনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। এখানে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের অভিমান স্বাভাবিক। আমি তাদের এ অভিমানকে স্বাগত জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে সিনিয়রদের সঙ্গে একাধিকবার বসেছি। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ক্ষোভ নিরসনে কাজ করছি। ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করাই আমাদের অঙ্গীকার।”
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজি জিয়া উদ্দিন বাসেত, শাখা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, নতুন আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, মো.
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল র ক কম ট
এছাড়াও পড়ুন:
ধামগড় ইউনিয়নের ৪টি ওয়ার্ড কমিটিতে ত্যাগীরা মূল্যায়িত হয়েছে: জাহিদ
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়নের নবগঠিত ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির চারটি কমিটি বিগত সরকারের দমন পীড়নের সময় রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ত্যাগী নেতাকর্মীদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে।
কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ কমিটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিতর্কিত করার অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার। তিনি এসব অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ধামগড়ের কামতাল এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাহিদ খন্দকার বলেন, “আগামী এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশনা এসেছে মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে। সেই ধারাবাহিকতায় দ্রুতই চারটি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটনের কাছে জমা দিই।
কিন্তু দুই মাস পার হলেও সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া অনুমোদনের সাইন করানোর অজুহাতে দেরি করেছেন। পরে উপজেলা নেতৃবৃন্দের অনুমতিক্রমে তাদের ও আমার যৌথ সাইনে কমিটি অনুমোদন করা হয়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি উপজেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং আমাকেও জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমরা এ ধরনের অপপ্রচার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।”
জাহিদ খন্দকার সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আজকে নবগঠিত চারটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদকরা সবাই আমার সঙ্গে আছেন। মিথ্যা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন। আসুন ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের বিজয় নিশ্চিত করি। ধানের শীষের জয়েই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
নবগঠিত চারটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বলেন, আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেছি। সেই ত্যাগের মূল্যায়ন হিসেবেই কমিটিতে স্থান পেয়েছি। এজন্য উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
তাঁরা অভিযোগ করে আরও বলেন, কমিটির তালিকা জমা দেওয়ার পরও সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়ার কারণে তিন মাস দেরি হয়েছে। তিনি বারবার ‘দিচ্ছি’ বলে সময়ক্ষেপণ করেছেন। শেষ পর্যন্ত আলহামদুলিল্লাহ— আমরা কমিটি পেয়েছি। কোনো টাকা-পয়সা নয়, কেবল ত্যাগের মূল্যায়নেই আমরা এই দায়িত্ব পেয়েছি। এখন দলীয় প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত চারটি ওয়ার্ডের মধ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ছানাউল্লাহ মুন্সী, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আক্কাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাইদ, সহ- সভাপতি জাকির প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মাসুম প্রধান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক তোবার প্রধান, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী হাসান আলী, সহ- সভাপতি মো.নুর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসমাইল, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সাউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকসহ বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।