বান্দরবানে ডাকাতচক্রের মূলহোতাসহ ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 26th, January 2025 GMT
বান্দরবানের বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত চক্রের মূলহোতাসহ সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোটরসাইকেল, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও ডাকাতিকালে ব্যবহৃত একটি পোর্টেবল স্টিক উদ্ধার করা হয়।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে বান্দরবান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো.
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- মো. খায়রুল আমিন (২১), জাহিদুল ইসলাম মানিক (২২), মো. সালাউদ্দিন (২৫), মো. দিদার (২৫), হাবিবুর রহমান (২০), আনোয়ার হোসেন (২৫) ও আবু শরীফ (২২)। তারা সবাই বান্দরবান জেলার লামা ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাউছার বলেন, “গত ৪ জানুয়ারি ইফসা এনজিও কর্মীকে থামিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সে অভিযোগের প্রক্ষিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পৃথক জায়গা থেকে চকরিয়া লোহাগাড়াসহ আশপাশের এলাকায় মূলহোতাসহ সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”
পুলিশ সুপার আরও বলেন, “বান্দরবানের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/চাইমং/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য অপরাধীদের উৎসাহিত করবে: চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র
দুজন নারীর সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে একটি চিহ্নিত উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে মব তৈরি করে তাদের লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এমন ঘটনা একটি ফৌজদারি অপরাধ। অথচ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই। এতে অপরাধীরা উৎসাহিত হবে।
রাজধানীর লালমাটিয়ায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়ে আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নিখিল দাস ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ওপেন স্পেসে (উন্মুক্ত স্থানে) সিগারেট না খাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু সিগারেট খাওয়া–সংক্রান্ত আইনে টংদোকান ওপেন স্পেসের (উন্মুক্ত স্থান) মধ্যে পড়ে না, তিনি হয়তো আইনটি পড়ে দেখেননি।’
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, একটি চিহ্নিত উগ্র সাম্প্রদায়িক নারীবিদ্বেষী গোষ্ঠী ক্রমাগত নারীদের ওপর নির্যাতন ও সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে। ৫ আগস্টের পর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নারীদের নির্যাতন করতে দেখা গেছে। শুধু তা–ই নয়, এই গোষ্ঠী নারীদের খেলা বন্ধ করা, সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধ করা, মাজারে আক্রমণসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথা সরকার এসব বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে চরম ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কীভাবে ক্রিমিনাল অফেন্সকে জাস্টিফাই করেন’৫ ঘণ্টা আগেআইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সরে যাওয়া উচিত বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি নারী লাঞ্ছনাসহ সব মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন‘পাবলিক প্লেসে’ ধূমপান নারী–পুরুষ সবার জন্য অপরাধ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা০২ মার্চ ২০২৫