পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় চোর সন্দেহে সেলিম শাহ নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ৩টার দিকে ধাওয়া ইউনিয়নের পশারিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সেলিম শাহ (৫০) পশারিবুনিয়া গ্রামের মৃত দৌলাত শাহর ছেলে। পুলিশ রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।

সেলিম শাহর স্ত্রী শাহানুর বেগমের দাবি, শনিবার রাত ১১টার দিকে তার স্বামীকে কে বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। সকালে শুনতে পান, স্বামীকে গ্রামবাসী পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে পশারিবুনিয়া গ্রামের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ফিরোজের বসতঘরের সিঁদ কেটে দুই চোর প্রবেশ করে। তারা ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গৃহকর্তার ছেলে মোহাম্মদ আলী মান্না টের পেয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে চোরেরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশী টের পেয়ে গ্রামবাসীকে মোবাইল ফোনে খবর দিলে তারা চোরদের ধাওয়া করে। এ সময় চোর এমাদুল হোসেনসহ অন্যরা মালপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধরা পড়েন সেলিম শাহ। গ্রামবাসী তাকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পেটায়। রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে মারা যান সেলিম।

ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ আনওয়ার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সেলিম শাহর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই

দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’

এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ