চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 26th, January 2025 GMT
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় চোর সন্দেহে সেলিম শাহ নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ৩টার দিকে ধাওয়া ইউনিয়নের পশারিবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সেলিম শাহ (৫০) পশারিবুনিয়া গ্রামের মৃত দৌলাত শাহর ছেলে। পুলিশ রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে জেলা মর্গে পাঠিয়েছে।
সেলিম শাহর স্ত্রী শাহানুর বেগমের দাবি, শনিবার রাত ১১টার দিকে তার স্বামীকে কে বা কারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। সকালে শুনতে পান, স্বামীকে গ্রামবাসী পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে পশারিবুনিয়া গ্রামের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ফিরোজের বসতঘরের সিঁদ কেটে দুই চোর প্রবেশ করে। তারা ৩০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গৃহকর্তার ছেলে মোহাম্মদ আলী মান্না টের পেয়ে প্রতিরোধ করতে গেলে চোরেরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশী টের পেয়ে গ্রামবাসীকে মোবাইল ফোনে খবর দিলে তারা চোরদের ধাওয়া করে। এ সময় চোর এমাদুল হোসেনসহ অন্যরা মালপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ধরা পড়েন সেলিম শাহ। গ্রামবাসী তাকে সড়কে ফেলে বেধড়ক পেটায়। রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে মারা যান সেলিম।
ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহম্মদ আনওয়ার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সেলিম শাহর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’