নিজ বাড়িতে হামলার পর বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের হামলাকারীকে ধরতে তৎপর ছিল পুলিশ। পরে গ্রেপ্তার করা হয় শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের এক ব্যক্তিকে। গেল কয়েকদিনে তাকে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি। এবার এল চমকপ্রদ তথ্য।

মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট বলছে, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে সেগুলোর সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনও মিল নেই।

মুম্বাই পুলিশ সাইফ আলী খানের বাড়ি থেকে সম্ভাব্য হামলাকারীর ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা সংগ্রহ করে। শরিফুল ইসলাম শেহজাদের ১০টি আঙুলের ছাপও পাঠানো হয়েছিল। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে।

বলা হচ্ছে, সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ শরিফুলই সাইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো?

এর আগে শরিফুলের বাবা রুহুল আমিন প্রশ্ন তোলেন, তার ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ঠিকই কিন্তু সাইফের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গেছে সে অন্য লোক।

সে সময় পুলিশ নিশ্চিত করে সাইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল শরিফুলই। জিজ্ঞাসাবাদেও পুলিশ এমন তথ্য পেয়েছে বলে জানান। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, তাহলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলছে না কেন? সূত্র: আনন্দবাজার ও সংবাদ প্রতিদিন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে ইইউ

ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।

ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।

ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।

তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ