চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ভেতরে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে ৯৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে এনএসআই ও শুল্ক গোয়েন্দাররা। 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের BG-152 ফ্লাইট থেকে এই মোবাইল ভর্তি ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মোবাইল ফোনগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দরের এন এস আই এবং শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা শারজাহ থেকে আসা বিমানের অভ্যন্তরে অভিযান পরিচালনা করে। এই সময় বিমানের ভিতর পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ট্রলিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। পরে ব্যাগটি খুলে সেখানে ৯৫টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। 

ফোনগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/রেজাউল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে দুইজনকে গুলি করে হত্যা

ইতালির কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে ফরিদপুরের দুই যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমনকি হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে তাদের ছবি পাঠানো হয়। 

নিহত দুই যুবক হলেন- ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মিন্টু হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (২৪) ও মজিবর হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৬)। 
 
হৃদয়ের বাবা মিন্টু হাওলাদার বলেন, দু’মাস আগে স্থানীয় আবু তারা মাতুব্বর, আলমাছ ও আনোয়ারের মাধ্যমে ১৬ লাখ টাকা দিয়ে ছেলেকে বিদেশ পাঠাই। ছেলেকে প্রথমে দুবাই সেখান থেকে সৌদি আরব তারপর লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে।

হৃদয়ের বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ৪/৫ দিন ধরে হৃদয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছিলাম না। দালালরা শুক্রবার দুপুরে আমার ভাইয়ের লাশের ছবি পাঠিয়েছে। ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার পরও বিদেশ থেকে ফোন করে আরও টাকা দাবি করছিল পাচারচক্র। টাকা না দেওয়ায় ওরা আমার ভাইকে খুন করেছে। 

একই গ্রামের ফয়সাল হোসেন বলেন, রাসেল নামের আরও একজনকেও লিবিয়াতে হত্যা করা হয়েছে। ওরা একই গ্রামের বাসিন্দা। ওই মানবপাচার চক্র এভাবে মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। টাকা না দিলেই তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটানো হয়। কখনও নির্যাতন করে আবার কখনও হত্যা করে।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকসেদুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার দুটি ছেলেকে লিবিয়ায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনও লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। ওই পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে  আলোচনা করে দালালচক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ