শিকদার পরিবারের দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তৌহিদুল আলম খান মেয়াদের শেষ সময়ে পদত্যাগ করেন। গত ২৪ জানুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ করে ব্যাংক ছাড়েন। 

ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু সমকালকে বলেন, ‘খেলাপিঋণ আদায় জোরদারের মাধ্যমে আমরা ব্যাংকটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এর মধ্যে ব্যাংকের এমডি গত মাসে পদত্যাগ করেন। এতে আমি বিস্মিত। শেষ সময়ে কেন পদত্যাগ করেছেন, তা জানি না।’

ন্যাশনাল ব্যাংক এক সময় বেসরকারি খাতের অন্যতম সেরা ব্যাংক ছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নেয় জয়নুল হক শিকদার পরিবার। নিয়ম বর্হিভূতভাবে তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ব্যাংকটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। বেনামি ঋণ, কমিশন নিয়ে ঋণ, নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হলে বিগত সরকারের শেষ সময়ে এনবিএলের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যে ১১টি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন এসেছে তার একটি ন্যাশনাল ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫৬ শতাংশ বা ২৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা খেলাপি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ শ ষ সময় র পর ব সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ