কর্মবিরতিতে খুলনায় ট্যাংকলরি শ্রমিকরা, ১৬ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ
Published: 26th, January 2025 GMT
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমকে আজ রোববার দুপুর ২টার দিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও ১৬টি জেলায় পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া তারা ট্যাংকলরি রেখে খালিশপুর এলাকার বিআইডিসি সড়ক অবরোধ করেছে।
খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম জানান, ট্যাংকলরি শ্রমিক নেতা আলী আজম খালিশপুরে বিএনপি অফিস ভাঙচুর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। স্থানীয় লোকজন তাকে আটকের পর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর তাকে খালিশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে আলী আজিমকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৬টি জেলায় পরিবহন বন্ধ করে দেয়। তারা খালিশপুর নতুন রাস্তা মোড়ে ট্যাংকলরি রেখে বিআইডিসি সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এছাড়া শ্রমিকরা ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সমাবেশে ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এনাম মুন্সী, পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মীর মোকসেদ আলী, শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান মিজু বক্তব্য দেন। তারা বলেন, অবিলম্বে আলী আজিমকে মুক্তি দেওয়া না হলে অনির্দিষ্টকাল জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ থাকবে।
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. তাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, খালিশপুর থানায় গত ২১ আগস্ট দায়ের হওয়া মামলায় আলী আজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিকে মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করল ইসরায়েল
গাজায় সব মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। রোববার দেশটি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির নতুন প্রস্তাব মেনে না নিলে ‘আরও পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। তাদের অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় রাজি হতে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশটির বিরুদ্ধে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তারা বলেছে, গাজায় ত্রাণ প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া নির্যাতনের এক সহজ উপায়, যুদ্ধাপরাধ ও চুক্তির (যুদ্ধবিরতি) ঘোরতর লঙ্ঘন। এই ঘটনায় মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তাও চেয়েছে হামাস।
নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রথম ধাপের বন্দিবিনিময় চুক্তি শেষ হয়েছে এবং হামাস উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ (রোববার) সকাল থেকে গাজায় সব ধরনের পণ্য ও সরবরাহ প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এক মাসের কিছু বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছিল। কিন্তু রোববার সকাল থেকে গাজায় আর কোনো পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করেনি। এতে গাজায় হঠাৎ করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। সেখানকার মানুষ ময়দা, রুটি যা পারছে তাই খুঁজছেন। যেন সারাদিন রোজা রাখার পর অন্তত ইফতার করা যায়। পণ্য সরবরাহ বন্ধ করায় আবারও না খেয়ে থাকায় শঙ্কায় পড়েছেন গাজাবাসী।
এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কোনো ঐকমত্য না হলেও, এখনই হামলায় যাচ্ছে না তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব মেনে রমজান মাসে যুদ্ধ বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তবে হামাস গাজার যুদ্ধবিরতির চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।