বিভিন্ন সময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ মিছিল করার প্রতিবাদে জামালপুরে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকার দয়াময়ী চত্ত্বর অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে তারা বিক্ষোভ করেন। দোষীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসন আশ্বাস দিলে বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে যান। 

এদিকে, সড়ক অবরোধের কারণে জামালপুর শহরের প্রধান সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারীদের। 

আরো পড়ুন:

বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সড়ক অবরোধ

বিচারক অপসারণ না হওয়ায় আদালতের ফটকে তালা, সড়ক অবরোধ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব সৌরভ আবিদ বলেন, “বিভিন্ন সময় আমরা দেখছি, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ মিছিল করছে। দুই দিন আগেও দিনের বেলায় আওয়ামী লীগের ব্যানারে তারা মিছিল করেছে। এর দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। প্রশাসন আগামীকাল (সোমবার) আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। পরে আমরা সড়ক ছেড়ে দেই।” 

জামালপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.

কে. এম. আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, “আমরা শিক্ষার্থী ও নেতাকর্মীদের বলেছি, আগামীকাল একটি বৈঠকের আয়োজন করেছি। মিছিল করা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দ্রুত আটকের চেষ্টা করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এমন আশ্বাসে সড়ক থেকে তারা (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন) সরে যায়।”

ঢাকা/শোভন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ছ ল কর অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ