‘আন্দোলন দমাতে র্যাবের হেলিকপ্টার থেকে গুলির প্রমাণ মিলেছে’
Published: 26th, January 2025 GMT
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোড়ার প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা (আইসিটি)।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, র্যাবের সে সময়কার মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেন। জুলাই গণহত্যায় এখন পর্যন্ত ৯৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি।
এদিন আন্দোলন চলাকালে আশুলিয়ায় ছয়জনের মরদেহ পোড়ানোর মামলায় দুই সাবেক পুলিশ সদস্যকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন- এস আই আবদুল মালেক ও কনস্টেবল মুকুল চোকদার। গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এদিন র্যাবের সে সময়কার মহাপরিচালক হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন শুনানিতে প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি, গণহত্যার পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন করেছেন র্যাব প্রধান হারুন। এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারপতিরা জানতে চান হারুন কোথায়? চিফ প্রসিকিউটর জানান, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে তদন্ত সংস্থা।
পরে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীরা
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে জাতীয় সচিবালয় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। তাঁরা আওয়ামী লীগসহ দলটির অঙ্গসংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ এবং পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও জুলাই গণহত্যাসহ সব অপকর্মের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
আজ সোমবার বেলা ২টার পর শিক্ষার্থীরা সচিবালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিতে শুরু করেন। তবে সচিবালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরে যেতে অনুরোধ জানালে শিক্ষার্থীরা রাস্তার বিপরীত পাশে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে অবস্থান নেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীদের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আইন উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে প্রবেশ করেছেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। দলে আরও রয়েছেন সাদিক আল আরমান, রাফিদ এম ভুইয়া, সালেহ মাহমুদ রায়হান এবং মাসুদ রানা।
স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে প্রবেশের আগে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এর আগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে রাষ্ট্রের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও চিকিৎসার দাবি জানিয়েছি। আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের সব অপকর্মের বিচার চেয়েছি। কিন্তু, সরকার কর্ণপাত করেনি। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে চান না, এটিকে সমীচীন মনে করেন না। সর্বশেষ ফরমাল প্রক্রিয়া হিসেবে আমরা স্মারকলিপি নিয়ে এসেছি। এরপরও দাবি আদায় না হলে আমরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব।’
মোসাদ্দিক জানান, তারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন এলাকার গ্রুপকে এক করার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্দোলন শুরু করার প্রক্রিয়া হিসেবে স্মারকলিপি নিয়ে আসা হয়েছে। দাবি মেনে না নিলে শিগগিরই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।