সাবেক এমপি নদভী আরো ৪ দিন রিমান্ডে
Published: 26th, January 2025 GMT
চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে দুই মামলায় আবারো চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া আরেকটি হত্যা মামলায় তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুইজন বিচারক এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিকুল হক ভূঁইয়া এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। গত ২২ জানুয়ারি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানার দুই মামলায় তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরো পড়ুন:
পাবনায় ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জ কারাগারে অপরাধী সংশোধন ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ
আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য নদভীকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে চান্দগাঁও থানার দুই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিন এবং পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে দুই দিন করে মোট চার দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এছাড়া নগরের সদরঘাট থানার আরেকটি হত্যা মামলায় পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নদভীর বিরুদ্ধে জেলার সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও নগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকায় গ্রেপ্তার হন তিনি।
ঢাকা/রেজাউল/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এমপ জ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
মিয়ানমারে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ালো ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। সামরিক অভ্যুত্থানের চার বছর পূর্তির একদিন আগে এ ঘোষণা এলো। আজ শুক্রবার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাতে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাসীন হয়। এরপর থেকে দেশটি গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে। সম্প্রতি বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের জয় পাচ্ছে। দেশের অনেক এলাকা এখন বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে জান্তা বাহিনী এ বছর নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। সমালোচকরা বলছেন, প্রক্সির মাধ্যমে জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য একটি প্রহসন হতে পারে এ নির্বাচন। কারণ, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ধরে রাখতে বহুবার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আবারও মেয়াদ বাড়ানো পরিস্থিতির ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত এমআরটিভি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে জরুরি অবস্থা বৃদ্ধির ঘোষণা প্রচার করে বলেছে, সাধারণ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য এখনো আরও অনেক কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রয়োজন।
নির্বাচনের জন্য কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে জান্তা সরকার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যদিও তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার লড়াইয়ে ক্লান্ত। কারণ, তারা একাধিক ফ্রন্টে সশস্ত্র বিদ্রোহকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এক সময় মিয়ানমারের অর্থনীতি আন্তর্জাতিক বাজারে একটি প্রতিশ্রুতিশীল শক্তি হিসেবে দেখা হলেও এখন তা ব্যাপক চাপে রয়েছে। সামরিক বাহিনী একাধিক ফ্রন্টে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে এবং দেশটির জনগণের ওপর চাপ দিন দিন বাড়ছে।