বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সড়ক অবরোধ
Published: 26th, January 2025 GMT
চাকরিতে ১৬০ জনকে পুনর্বহালসহ তিন দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা সিটি করপোরেশনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এতে কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মচারীরা সিটি করপোরেশনের ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। আন্দোলনকারীরা জানান, চাকরিচ্যুতদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং তাদের অন্য দাবিসমূহ মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা জানান, লিখিত নোটিশ না দিয়ে মৌখিক নির্দেশে গত ১ জানুয়ারি ১৬০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা শ্রম আইনের পরিপন্থি। ষাটোর্ধ্ব শ্রমিকদের সামাজিক কোনো নিরাপত্তা না দিয়ে হঠাৎ করে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ায় তারা তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। চাকরি হারিয়ে অনেকে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছেন। এ কারণেই আজকের আন্দোলন।
আরো পড়ুন:
বিচারক অপসারণ না হওয়ায় আদালতের ফটকে তালা, সড়ক অবরোধ
ভারতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ
বরিশাল সিটি করপোরেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হোসেন ঢালী বলেন, “যাদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের কাজ করার সুযোগ দেওয়াসহ ৩ দফা দাবি নিয়ে বিগত ১ নভেম্বর থেকে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি। যত দিন পর্যন্ত আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলবে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের সদস্য সচিব ডা.
বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল বারী বলেন, “শ্রম আইন মেনেই ষাটোর্ধ্বদের বাদ দেওয়া হয়েছে। যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তারা সিটি করপোরেশনের নিয়মিত কর্মী নয়। দিন মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে। এদের চাকরি স্থায়ী করার দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। তবে, যেহেতু শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে, আইনের মধ্যে থেকে কিছু করা গেলে তা করা হবে।”
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক অবর ধ চ কর চ য ত
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।
বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।
নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।