শিকদার পরিবারের দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তৌহিদুল আলম খান পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এমন সময়ে পদত্যাগে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ব্যাংকটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আবদুল আউয়াল মিন্টু সমকালকে বলেন, ‘আদায় জোরদারের মাধ্যমে আমরা ব্যাংকটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ঠিক এমন সময়ে ব্যাংকের এমডির পদত্যাগে আমি বিস্মিত। কেন পদত্যাগ করেছেন তা জানি না।

আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় জয়নুল হক শিকদার পরিবার। তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ছিল ব্যাংকটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। বেনামি ঋণ, কমিশন নিয়ে ঋণ, নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হলে বিগত সরকারের শেষ সময়ে এনবিএলের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যে ১১টি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন এসেছে তার একটি ন্যাশনাল ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫৬ শতাংশ বা ২৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা খেলাপি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ পদত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ