ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির পদত্যাগ, বিস্মিত চেয়ারম্যান
Published: 26th, January 2025 GMT
শিকদার পরিবারের দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তৌহিদুল আলম খান পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এমন সময়ে পদত্যাগে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ব্যাংকটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আবদুল আউয়াল মিন্টু সমকালকে বলেন, ‘আদায় জোরদারের মাধ্যমে আমরা ব্যাংকটিকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। ঠিক এমন সময়ে ব্যাংকের এমডির পদত্যাগে আমি বিস্মিত। কেন পদত্যাগ করেছেন তা জানি না।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ন্যাশনাল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় জয়নুল হক শিকদার পরিবার। তার স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ছিল ব্যাংকটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। বেনামি ঋণ, কমিশন নিয়ে ঋণ, নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে অভিযোগের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হলে বিগত সরকারের শেষ সময়ে এনবিএলের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর যে ১১টি ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন এসেছে তার একটি ন্যাশনাল ব্যাংক। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট ঋণের প্রায় ৫৬ শতাংশ বা ২৩ হাজার ৭২২ কোটি টাকা খেলাপি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জিনদের আবাস
হাদিসে আছে, মহানবী (সা.) ‘কার’-বিশিষ্ট ভূমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করছেন। কারণ সেটা জিনদের আবাসস্থল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কার’ কি? তিনি বলেন, ঘন ঝাড়-জঙ্গল, গাছপালা ঘেরা নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়া জনবসতির শৌচাগার, গোসলখানা, নোংরা ও অপবিত্র স্থান, আবর্জনার স্তূপ এবং কবরস্থানে দুষ্ট জিন-শয়তান বিচরণ করে। তিনি বলেছেন, ‘নিশ্চয় শৌচাগারে দুষ্ট জিন-শয়তান উপস্থিত থাকে। তাই তোমরা যখন সেখানে প্রবেশ করবে তখন বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিলান খুবুসি ওয়াল খবাইস।’ অর্থাৎ, আমি আল্লাহর কাছে যাবতীয় দুষ্ট পুরুষ ও নারী জিন ও শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৬)
হাদিস অনুযায়ী শৌচাগার হলো, যেখানে নাপাক থাকে বা শরীর বস্ত্রহীন করতে হয়, সেসব জায়গায় শয়তানের আনাগোনা থাকে। মানুষকে বিবস্ত্র করা শয়তানের অন্যতম একটি কাজ। কারণ আল্লাহর এবং বান্দার মধ্য আবরণ হলো লজ্জা। আদম ও হাওয়া (আ.) যখন আল্লাহর আদেশ অমান্য করেছিলেন, প্রথমেই তাদের শরীর থেকে জান্নাতের পোশাক খুলে গিয়েছিল।
আরও পড়ুনইবলিস কি জিন নাকি ফেরেশতা১৬ মার্চ ২০২৫নবীজি (সা.) মাটির গর্তে প্রস্রাব করতে নিষেধ করেছেন। এতে জিনদের বসবাসের স্থান।’ (আবুদাউদ, হাদিস: ২৯)
কবরস্থানে জিনেরা সাধারণত মানুষের মতোই যাতায়াত করে। আবার কখনো অবস্থান করে দীর্ঘদিন। ভালো-মন্দ সব ধরনের—এমনকি সেখানে দুষ্ট প্রকৃতির জিন-শয়তানরাও অবস্থান করে।
একটা ভুল ধারণা লোকসমাজে প্রসিদ্ধ আছে, ‘বদকারদের কবরের আজাবের ভয়ে জিনেরা কবরস্থানে থাকে না।’ অথচ নবীজি বলেছেন, ‘অতঃপর তার জন্য লোহার বিশাল হাতুড়িধারী একজন অন্ধ ও বধির ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয়। সেই ফেরেশতা ওই হাতুড়ি দিয়ে অবিশ্বাসীকে এমন জোরে আঘাত করে; যার আওয়াজ মানুষ ও জিন ছাড়া পূর্ব-পশ্চিমের সব সৃষ্টি শুনতে পায়।’ (আবু দাউদ, ৪,৭৫৩)
এ ছাড়া বাজার ও দোকানপাটে দুষ্ট জিন-শয়তানের আনাগোনা বেশি থাকে। আল্লাহর রাসুল (সা.) জানিয়েছেন, ‘বাজারে শয়তান তার যুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করে।’ (মুসলিম, হাদিস: ২,৪৫১)
আরও পড়ুনএকদল জিন পবিত্র কোরআন শুনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন২০ নভেম্বর ২০২৩