সিলেটকে শক্তি দেখিয়ে প্লে’অফে বরিশাল
Published: 26th, January 2025 GMT
প্রথম দেখায় সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১২৫ রানে অলআউট করে ফরচুন বরিশাল ম্যাচ জিতেছিল ৭ উইকেটে। আজ রবিরার (২৬ জানুয়ারি, ২০২৫) দ্বিতীয় দেখায় সিলেটকে নিয়ে আবার ছেলেখেলায় মেতে উঠল তারা। এবার ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট।
সহজ লক্ষ্য বরিশাল ছুঁয়ে ফেলে ৪ ওভার আগে। ৮ উইকেটের জয়ে তারা দ্বিতীয় দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে প্লে’অফ। ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট তামিমের বরিশালের। রংপুরের পরই তাদের অবস্থান। অন্যদিকে অষ্টম হারে সিলেটের শেষ চারে সুযোগ এখানেই শেষ হয়ে গেছে।
সিলেটের জন্য গল্পগুলো ছিল একই রকম। ধারাবাহিক ব্যাটিং বিপর্যয়। নিষ্প্রাণ বোলিং আক্রমণ। ফিল্ডিংটাও গড়পড়তা। সব মিলিয়ে দলটা একেবারেই অগোছালো। বিপক্ষ দলের জন্য কেবল পরিবর্তন হয় ম্যাচের নায়কের। নতুন ম্যাচ, নতুন নায়ক।
আরো পড়ুন:
৭ রানে ফাহিমের ৫ উইকেট, রেকর্ড গড়লেন নবী
বিপিএল নিয়ে ‘সিরিয়াস বিসিবি’, ৭ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বিসিবির ডাক
বরিশালের বিপক্ষে প্রথম দেখায় পাকিস্তানি পেসার জাহানদাদ খান ৩ উইকেট নিয়ে তাদের গুটিয়ে দিয়েছিলেন। এবার স্বদেশি ফাহিম আশরাফ তার মিডিয়াম পেসে এলোমেলো করে দিলেন সিলেটকে। তাসকিন আহমেদের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএলে ফাইফারের স্বাদ পেয়েছেন। এজন্য ৩.
প্রথম ওভারে রনি তালুকদার ও কাডিম এলায়িনকে আউট করার পর পরের ওভারে নাহিদুলকে বোল্ড করেন ডানহাতি পেসার। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ওভারে ফিরে আরিফুল ও সুমন খানের উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফাইফারের স্বাদ পান।
তার তোপেই পুড়েছে সিলেট। ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন আহসান ভাট্টি। ২৪ রান আসে জাকের আলীর ব্যাট থেকে। বাকিরা প্রত্যেকেই ছিলেন নিষ্প্রভ। ফাহিম বাদে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ নবী ও জেমস ফুলার।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় তামিম পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। ১৬তম ওভারের শেষ বলে বরিশালের জয়ের জন্য লাগত ১ রান। তামিম তখন ৪৮ রানে। পেসার সুমন খানকে লং অনে উড়িয়ে চার পান তামিম।
মুশফিক সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য দৌড় দিলেও তাকে আটকে দেন। মুশফিক ক্রিজের অর্ধেক চলে আসলে ১ রান কাউন্ট হতো। বলটি সীমানা অতিক্রম করায় তামিম পেয়েছেন এবারের আসরের তৃতীয় ফিফটি। ৫১ বলে ৫২ রান করেন ৬ বাউন্ডারিতে।
এছাড়া মুশফিকুর রহিম ৩০ বলে ৪২ রান করেন ৪ চার ও ১ ছক্কায়। এর আগে তাওহীদ হৃদয় ৬ ও ডেভিড মালান ৯ রানে আউট হন।
টানা চার জয়ে বিপিএলের শিরোপাধারীরা রয়েছে দারুণ ছন্দে। প্লে’অফের আগে এমন ছন্দ নিশ্চিতভাবেই খুঁজে পেতে চেয়েছিল তামিমের দল।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’