গোপালগঞ্জে অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ডোমরাশুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষযটি নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন- গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মাঝিগাতি ইউনিয়নের কোনাগ্রামের মৃত সিরাজ খানের ছেলে সিফাত খান (৩৫), একই গ্রামের মান্নান খানের ছেলে সাব্বির খান (২৩), আলীমুজ্জামান কাজীর ছেলে ওহিদুল কাজী (২৭), মৃত তারা মিয়ার ছেলে সাহাবুল শেখ (২৫) ও একই উপজেলার শিবপুর গ্রামের আওলাদ মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যা (২৬)।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নাজিব আহম্মেদ বলেন, “কয়েকদিন ধরে এলাকায় একটি অপহরণ চক্র যুবকদের ধরে মারধর করে মুক্তিপণ দাবি করছে বলে অভিযোগ দেয় গ্রামবাসী। আজ দুপুরে এব যুবককে মারধর করে মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে বলে খবর আসে। কয়েকজন যুবককে সঙ্গে নিয়ে ডোমরাশুর গ্রামের পোদ্দারবাড়ির পশ্চিম পাশের মোবাইল টাওয়ারের নিচে যায়। এসম এক যুবককে মারধর করতে দেখা যায়। পরে ধাওয়া করে পাঁচ জনকে আটক করতে পারলেও দলটির আরো ৮ সদস্য পালিয়ে যায়। আটককৃতদের পুলিশে দেওয়া হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

মাদারীপুরে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যকে গণপিটুনি 

রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর

ওসি মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, “ডোমরাশুর গ্রামে এক যুবককে অপহরণ করে মারধর ও মুক্তিপণ চাওয়া হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান নাজিব আহম্মেদসহ কয়েকজন যুবক যায়। এসময় তারা ধাওয়া করে অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেন। অভিযুক্তদের গণপিটুনি দেন তারা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহরণ চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করে।

তিনি আরো বলেন, “আটকতৃকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরা কয়েকটি অপহরণের সঙ্গে জড়িতে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর আটক অপহরণ গণপ ট ন ম রধর য বকক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় মিলল ইউনিফর্ম-ওয়াকিটকি 

খাগড়াছড়িতে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে চলমান অভিযানে সন্ত্রাসীদের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে যৌথ বাহিনী। এ সময় সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ প্রশিক্ষণ ও দাপ্তরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে তারা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরের দিকে ভাইবোনছড়ার পূর্ণ চন্দ্র কার্বারিপাড়ায় সন্ত্রাসী দলের গোপন আস্তানার সন্ধান পায় যৌথ বাহিনী। সেখান থেকে উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে- লেপটপ, ক্যামেরা, ওয়াকিটকি ও মোবাইল, সামরিক ইউনিফর্ম, পতাকা ও বিভিন্ন ধরনের বই। 

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থীরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।

গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জন। অপহরণের পর থেকে তাদের উদ্বারে অভিযান চলাচ্ছে যৌথ বাহিনী। ছয়দিন অতিবাহিত হলেও ওই শিক্ষার্থীদের এখনো খোঁজ মেলেনি।

ঢাকা/রূপায়ন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫ দিন পর মুক্তি পেলেন বান্দরবানে অপহৃত নির্মাণশ্রমিক
  • পাহাড়ে অপহরণের আলোচিত যত ঘটনা
  • এক সপ্তাহেও উদ্ধার হয়নি চবির অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
  • মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে অপহরণ, টেকনাফের পাহাড় থেকে উদ্ধার সেই ৬ শ্রমিক
  • সিলেটের নিখোঁজ ছয় শ্রমিকের লোকেশন টেকনাফ: পুলিশ
  • শরীরে ছ্যাঁকা দিয়ে হাতের নখ উপড়ে প্রতিবন্ধী বানিয়ে করানো হতো ভিক্ষা
  • উদ্ধার অভিযানে মিলল ‘ইউপিডিএফের আস্তানা’
  • টেকনাফে অপহরণকারী- যৌথবাহিনী গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১
  • টেকনাফে অপহরণকারীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১
  • খাগড়াছড়িতে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় মিলল ইউনিফর্ম-ওয়াকিটকি