ভারতকে জিতিয়ে অনন্য রেকর্ডে তিলক
Published: 26th, January 2025 GMT
সতীর্থরা সাজঘরে থেকে আসছেন আর যাচ্ছেন। তবে অপরপ্রান্তে অবিচল তলক ভার্মা। দেখে মনে হচ্ছিল তার আস্থায় কোনভাবেই চিড় ধরানো সম্ভব নয়। ঠিক হলোও তাই। এই বাঁহাতি বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের বীরত্বে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ২ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি, ২০২৫) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৬৫ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ৪ বল আগেই জয় নিশ্চিত করে ভারত। এতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। তিলক খেলেন অনবদ্য ৭২ রানের এক ইনিংস। এখানেই শেষ নয়। এই অবিশ্বাস্য ইনিংস খালার পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একটানা অপরাজিত থেকে রান তোলায় বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তিলক। এখনও পর্যন্ত আউট না হয়ে ৩১৮ রান সংগ্রহ করেছেন ভারতের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান!
আরো পড়ুন:
অভিষেক ঝড়ে উড়ে গেল ইংল্যান্ড
ভারতের বোলিং তোপে ইংল্যান্ডের মামুলি সংগ্রহ
এর আগে এই রেকর্ড ছিল নিউজিল্যান্ডের মার্ক চ্যাপম্যানের দখলে। তিনি আউট না হয়ে ২৭১ রান করেছিলেন। এরপর তালিকায় আছেন ভারতের আরেক ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ার (২৪০), অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ (২৪০) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (২৩৯)।
তিলকের আগের তিনটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ইনিংসেও অপরাজিত ছিলেন। এই তিন ইনিংসে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের রান যথাক্রমে ১৯*, ১২০* এবং ১০৭*। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নিজের নাম রেকর্ডের বুকে তুলেন।
ম্যাচ শেষে এই ২২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান জানান তিনি মানসিক ভাবে তৈরি ছিলেন শেষ পর্যন্ত খেলার। তিলক বলেন, “আমি নিজেকে বলেছিলাম, শেষ পর্যন্ত টিকে থাকব। ম্যাচ শেষ করে আসতে চেয়েছি। গম্ভীর স্যরের (ভারতের প্রধান কোচ) সঙ্গে গত ম্যাচে আমার কথা হয়েছিল। তাকে বলেছিলাম, দলের চাহিদা অনুযায়ী আমি খেলতে পারি। দরকারে ওভারে ৬,৭ রান নিতে পারি। আবার দরকারে ১০,১২ রানও নিতে পারি। গম্ভীর স্যর এই ম্যাচে আমাকে সেটাই করে দেখাতে বলল। সেটা মাথায় রেখেই খেলেছি।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ
চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।
গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা।
অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা।
ঢাকা/শাহেদ