ছয় বছর পূর্তিতে শিক্ষকদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে এডটেক প্ল্যাটফর্ম ইন্সট্রাক্টরি। গত শুক্রবার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষককে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে প্রতিষ্ঠানটি। ষষ্ঠ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে গোল্ড মেম্বারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের স্কিল ডেভেলপমেন্ট খাতে অসামান্য অবদান রাখা সেরা শিক্ষকদেরকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয় অনুষ্ঠানে।  

ওইদিন দুপুর দুইটায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর আমন্ত্রিত অতিথি ও শিক্ষকদের নিয়ে কেক কেটে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হয় ইন্সট্রাক্টরি ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি। এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন ইন্সট্রাক্টরির প্রতিষ্ঠাতা রিফাত এম হক, সহ প্রতিষ্ঠাতা হোসনা আরা কলি, আইএকাডেমির সিএসও মো.

ইশতিয়াক হক, ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক মোহাম্মাদ আলি, অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কমোডোর এম আনওয়ারুল হক, সুপ্রিওএক্স প্রতিষ্ঠাতা আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল হাসান অপু, স্বাস্থ্য উদ্যোক্তা ও ম্যানেজিং পার্টনার, রেজুভা ওয়েলনেস এর ম্যানেজিং পার্টনার ডা. বোরহানউদ্দিন আহমেদ সাদিক সহ দেশের শীর্ষ পেশাদার ব্যক্তিবর্গ, উদ্যোক্তা, শিক্ষক, ফ্রিল্যান্সার, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, স্টার্টআপ, শিক্ষা কমিউনিটির প্রতিনিধিবর্গ। সন্ধ্যায় ইন্সট্রাক্টরির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিল শীতকালীন পিঠা পুলি উৎসব ও গেমিং সেশন। 

তরুণ উদ্যোক্তা এবং ইন্সট্রাক্টরির প্রতিষ্ঠাতা রিফাত এম হক বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা চাই, দেশের তরুণ-তরুণীরা তাদের সময়কে কাজে লাগিয়ে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে। প্রায় ৩৯০ এরও অধিক অনলাইন কোর্সের থেকে পছন্দ মত কোর্স বাছাই করে নিজেদেরকে চাকরির বাজার কিংবা ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেসের জন্য প্রস্তুত করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমাদের লক্ষ্য ‘ইন্সট্রাক্টরি - মেড ইন বাংলাদেশ’ ধারণার ওপর ভিত্তি করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা।’ তিনি আরো বলেন, ‘তরুণ সমাজ, গৃহিণী বা শিক্ষিত বেকার সমাজ তারা যে কোন জায়গা থেকে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবে। দেশে বসে বিদেশের কাজ করে রেমিটেন্স নিয়ে আসবে। এই উদ্দ্যেশ্যই কাজ করে যাচ্ছে ইন্সট্রাক্টরি। আমাদের লক্ষ্য একটাই শিখবে সবাই ইন্সট্রাক্টরিতে, শিখছে সবাই ইন্সট্রাক্টরিতে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে আত্মনির্ভরশীল এবং  দক্ষ বাংলাদেশ গড়ার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশীয় এডটেক প্ল্যাটফর্ম এবং অনলাইন টিচিং মার্কেটপ্লেস ইন্সট্রাক্টরি। এই প্ল্যাটফর্মে দেশের শীর্ষ ফ্রিল্যান্সার এবং প্রফেশনাল শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রযুক্তিবিষয়ক বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স অনলাইনে শেখানো হয়। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ ঘরে বসে নামমাত্র মূল্যে কোর্সগুলো করতে পারেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র

এছাড়াও পড়ুন:

ঠিকাদার বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ২ প্রকৌশলীকে হুমকির অভিযোগ

খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা সোহাগের বিরুদ্ধে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই প্রকৌশলীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কুয়েটের একটি ভবনের ছাদের ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে লাভ আরও বেশি নির্ধারণের কথা বলেছিলেন ওই ঠিকাদার। এ নিয়ে প্রকৌশলীদের তিনি হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এ প্রেক্ষাপটে কুয়েটের নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) শেখ আবু হায়াত ও নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) মো. গোলাম কিবরিয়া সোমবার কুয়েট উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করে নিরাপত্তা চেয়েছেন। 

সূত্র জানায়, কুয়েটের ১৩ নম্বর ভবনের ছাদের ওপর ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজ নিয়েছেন মোল্লা সোহাগ। কাজটি কয়েকদিন আগে শুরু হয়। গত রোববার বিকেল ৩টার দিকে ঠিকাদার সোহাগ প্রথমে নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ বি এম মামুনুর রশিদ এবং অন্য নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেন। গালাগাল করতে নিষেধ করলে তিনি গোলাম কিবরিয়াকেও গালাগাল ও হুমকি দেন। পরে তিনি একই পরিচয় দিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াতকে ফোনে গালাগাল ও হুমকি দেন।

উপাচার্যের কাছে দুই নির্বাহী প্রকৌশলী লিখিত অভিযোগে বলেন, ওয়াটারপ্রুফিংয়ের কাজের দর প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের প্রকৌশলীরা বাজারদরের সঙ্গে সরকারি নিয়মে ভ্যাট, আইটি ও ১০ শতাংশ প্রফিট বা লাভ (পূর্বনির্ধারিত) যুক্ত করে নির্ধারণ করেন। ঠিকাদার সোহাগ ১০ শতাংশ লাভ কেন যুক্ত করে দর নির্ধারণ করা হয়েছে, তাঁকে আরও বেশি লাভ দিতে হবে বলে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়াকে জানান। এ কথা বলার পর প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু কোনো কথা না শুনে ফোনে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া ও শেখ আবু হায়াতকে গালাগাল ও মারধরের হুমকি দেন সোহাগ। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবু হায়াত বলেন, রোববার বিকেল ৩টার কিছু আগে খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে আমাকে ফোন দিয়ে বলে– ‘তুই চেয়ারের পরে বসে সবাইরে ১০ লাখ ২০ লাখ টাকার কাজ দিস। আমাকে দিছিস টেন পারসেন্ট লাভে।’ এই বলে আমাকে যাচ্ছেতাই বলে গালাগাল করেন। পাঁচ মিনিট পর ফোন দিয়ে আমাকে দেখে ছাড়বেন, আমার বাড়ি আক্রমণ করবেন, ফুলবাড়িগেটে গেলে আমাকে দেখে নেবেন– এসব বলে হিুমকি দেন। 

নিজের সাংগঠনিক পরিচয় ও প্রকৌশলীকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেন মোল্লা সোহাগ। তবে কোনো ধরনের ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন। মোল্লা সোহাগ বলেন, আমার নেতার অর্ডার আছে– আমি কোনো জায়গায় কোনো টেন্ডারেও যাই না, কোনো ঠিকাদারিতেও নেই। আমার কোনো কাজ কুয়েটে চলে না। আমার ট্রেড লাইসেন্সই নেই, কাজ পরের কথা। আমি তাদের (প্রকৌশলী) ফোন দিয়েছিলাম, কথা হয়েছে, তবে কোনো হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি।

কোনো কাজ চলছে না, তাহলে প্রকৌশলীদের কার হয়ে ফোন দিয়েছিলেন– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আবু হায়াত ও গোলাম কিবরিয়াকে ফোন দিলে ভালোভাবে জানতে পারবেন।’ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ