পরীমণি ইস্যুতে নিপুন বললেন, কাজের সরকার হয়ে ‘মব’ ঠ্যাকান
Published: 26th, January 2025 GMT
একটি প্রসাধনীর দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা পরীমণির অনুষ্ঠান স্থগিতের পরদিন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বিষয়টি ভালোভাবে নিচ্ছে না চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকেই।
বিষয়টিকে ‘মব’ বলে উল্লেখ করেছেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। সেই সঙ্গে ‘মব’ ঠ্যাকানোর জন্য সরকারকে কঠোর হতেও বলেন তিনি।
রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘মবের প্রতিবাদের মুখে পরীমণির দোকান উদ্বোধন করতে না পারার ক্ষোভ উদগীরণের পরপরই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা পুরনো মামলায় হাজিরা দিতে না যাওয়ায় গ্রেফতারের আদেশ জারি বড়ই কাকতালীয়, সরকার।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আবার সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামি সকলের জামিনে বের হয়ে ত্রাস সৃষ্টি করা মোটেও কাকতালীয় না। ঠিক যেমন আদিবাসীদের ওপর সভেরন্টি গ্রুপের হামলাও কাকতালীয় না, আবার নারী অভিনেতাদের তথাকথিত ‘মব’ এর প্রতিবাদের মুখে শোরুম উদ্বোধন করতে না পারাও এখন আর কাকতালীয় না।’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘কাকতালীয় বা অকাকতালীয় কোন সরকারই হইয়েন না, জনাব সরকার; কাজের সরকার হন। ‘মব’ ঠ্যাকান। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের ধরার ব্যবস্থা করেন। নাহলে আপনাদের পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাওয়াও কাকতালীয় হবে না।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আশফ ক ন প ন ক কত ল য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়ায় ইজারাকৃত গরুর হাটের পাশে জোর পূর্বক বাসানো হয়েছে বিকল্প হাট
নোয়াখালীর হাতিয়ায় ২৫ বছরের পুরনো ইজারাকৃত গরুর হাটে ব্যাপারীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাজারের পাশে জোর পূর্বক বিকল্প আরেকটি হাট বসিয়ে একদল লোক পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার ১নং হরনী ইউনিয়নে অবস্থিত হাতিয়া বাজার দক্ষিণ নোয়াখালীর অন্যতম বৃহৎ গরুর হাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া কেনাবেচা হয়। জনপ্রিয় এই হাটের ইজারা মূল্য এবার দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকায়।
ইজারাদার অভিযোগ করেছেন, বাজারের আশপাশে পূর্বে কোনো গরুর হাট না থাকলেও হঠাৎ করে একই দিনে বাজারের কাছেই বিকল্প একটি হাট বসানো হয়। ব্যাপারীরা যখন হাতিয়া বাজারে যাওয়ার পথে সূবর্ণচরের ভূঁইয়ার হাট এলাকায় পৌঁছান, তখন একটি দল তাদের জোরপূর্বক গাড়ি থামিয়ে গরু নামিয়ে সেই স্থানেই বিক্রি করতে বাধ্য করে। এতে রাস্তার দুই পাশে তীব্র বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং ইজারাকৃত বাজারে ব্যাপারীদের উপস্থিতি কমে যায়, ফলে বিপুল রাজস্ব ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
গরু ব্যাপারী নাসির উদ্দিন জানান, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়া বাজারে গরু বিক্রি করছি। কিন্তু আজ রাস্তার মধ্যে থামিয়ে অন্য হাটে যেতে চাপ দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, “বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে রাজস্ব ক্ষতির পাশাপাশি দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষও ঘটতে পারে।