‘ক্লিন এনার্জি: টেকসই ভবিষ্যৎ’ এই শ্লোগানে ফরিদপুর মানব বন্ধন হয়েছে। সেখানে বক্তারা বলেন, বায়োগ্যাস, সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে।

ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে রোববার বেলা ১১টার দিকে সচেতন নাগরিক কমিটির আহ্বানে ইয়্যুথ এনগেজ অ্যান্ড সাপোর্ট গ্রুপ (ইয়েস) অ্যাকটিভ সিটিজেন গ্রুপের (এসিজি) সদস্যসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির শতাধিক মানুষ ওই মানববন্ধনে অংশ নেন।

শুরুতেই আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সহসভাপতি পান্না বালা। তিনি বলেন, ক্লিন এনার্জি ব্যবহার ব্যবহার বাড়াতে হবে। আমাদেরকে বায়োগ্যাস, সৌরশক্তি, জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে হবে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।

সেখানে টিআইবির ধারণাপত্র পাঠ করেন সনাক সদস্য মাহবুবুর রহমান। এতে বলা হয়, ক্লিন এনার্জি হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি একটি আশার আলো হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা টেকসই ভবিষ্যতের পথে উত্তরণে অন্যতম অনুঘটক। সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, জলবিদ্যুৎ এবং ভূতাপীয় শক্তির মতো নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্ত জ্বালানি আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক পরিচ্ছন্ন দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন সনাক সদস্য রাসেল মিয়া ও মো.

রেজাউল করিম। তারা তাদের বক্তব্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন। তারা সৌরশক্তি, বায়োগ্যাসের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে জনসাধারণকে আগ্রহী করতে সরকারের কাছে দাবি জানান।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সনাক সভাপতি শিপ্রা রায় বলেন যে, পরিবেশ সংরক্ষণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে, তাপমাত্রা হ্রাস, খরা ও মরুকরণ প্রতিরোধে সরকারকে জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি ব্যবহারে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। পলিথিনসহ শিল্পবর্জ্য নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালার কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সর্বপরি, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন টিআইবির এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মো. গোলাম মোস্তফা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জলব দ য ৎ জলব দ য ৎ ব যবহ র পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ