‘ইনসাফ’ সিনেমায় রাজের নায়িকা ফারিণ, আছেন মোশাররফ করিমও
Published: 26th, January 2025 GMT
নতুন সিনেমা নির্মাণ করছেন নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার। নাম ‘ইনসাফ’। সিনেমাটিতে নায়ক হিসেবে থাকবেন শরীফুল রাজ। গুঞ্জন হিসেবে খবরটি এতোদিন চলে আসলেও সূত্রের বরাতে এবার এবার নিশ্চিত হওয়া গেল। সিনেমাটিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকছেন মোশাররফ করিম। এতে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন বলেও নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। ইতোমধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর পর্বও সেরে নিয়েছেন তারা।
নতুন খবর হচ্ছে এই সিনেমায় শরীফুল রাজের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে থাকছেন তাসনিয়া ফারিণ। আর এই সিনেমার মাধ্যমেই ঢাকার চলচ্চিত্রের পুরোপুরি কমার্শিয়াল সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিষেক হচ্ছে তার।
যদিও ফারিণের নায়িকা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি পরিচালক সঞ্জয় সমদ্দার। শুধু জানিয়েছেন, বেশ কজন অভিনেত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। চূড়ান্ত না হলে কিছুই বলতে পারছি না।
সমকালকে নির্মাতা বলেন, একটা সিনেমা নির্মাণের আগে তো অনেকের সঙ্গেই কথা হয়। অডিশন পর্ব হয়। এরমধ্যে থেকে যার সঙ্গে ব্যাটেবলে মিলে যায় তখনই তাকে কাস্ট করা হয়। আমি এখন সে পক্রিয়ার মধ্য দিয়েই যাচ্ছি। শিগগিরই সিনেমার নাম ও অফিসিয়ালি জানাব।’
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে তিতাস কথাচিত্র। এই সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর নতুন সিনেমায় প্রযোজনায় ফিরছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকেই সিনেমাটির শুটিং শুরুর কথা রয়েছে। বড় কোনো উৎসবে মুক্তির লক্ষ্যেই সিনেমাটি নির্মাণ হচ্ছে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন পরিচালক।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন ম হল
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।