কারাগারের হটলাইন চালু, বন্দির খবর মিলবে ঘরে বসেই
Published: 26th, January 2025 GMT
কারাবন্দিদের খবর জানতে স্বজনদের জন্য একটি হটলাইন নম্বর চালু করেছে সরকার। রবিবার (২৬ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এ সেবা উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘‘হটলাইন নম্বরটি হলো ০৯৬১২০২১৬৯০। এই নম্বরে কল দিয়ে স্বজনেরা বন্দিদের খবর জানতে পারবেন। নম্বরটি সবসময় খোলা থাকবে।’’
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সারাদেশের ৬৮টি কারাগারের বন্দিদের তথ্য মিলবে এই নম্বরে কল দিলে। এটি ব্যবহার করে বন্দির অবস্থান, হাজিরার তারিখ, সাক্ষাতের তারিখ, ফোনে কথা বলার তারিখ, শারীরিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য, প্যারোলে মুক্তি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে অভিযোগ কিংবা পরামর্শ দেওয়া যাবে।’’
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে কারাগার থেকে পালানো বন্দির মধ্যে এখনো ৭০০ পলাতক রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘যেসব আসামি কারাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, তাদের অধিকাংশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ধরা যায়নি।’’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ছিনতাই-চাঁদাবাজি হচ্ছে অস্বীকার করছি না। তবে যারা এসব করছে তারা ধরাও পড়ছে। আবার যারা ছাড়া পাচ্ছে তারাও এ ধরনের কাজ করছে, এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি, যেভাবেই হোক ছিনতাই-চাঁদাবাজি কমিয়ে আনার জন্য।’’
আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘পুলিশের স্বল্পতা নেই, তবে আগের মতো কাজের উদ্যম নেই। তাদের কাজের উদ্যম বাড়াতে চেষ্টা করছি।’’
ঢাকা/শিপন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’